ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে বইছে হালকা এবং মাঝারি ধরনের দমকা হাওয়া। সময় বাড়ার সাথে সাথে বৃষ্টি ও বাতাসের গতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলবাসীর আতঙ্ক তত বাড়ছে। স্থানীয়রা প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার।
শরণখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালীর আব্বাস তালুকদার বলেন, ‘রোববার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সেই বৃষ্টি রাতে মুষলধারে নামে। এখনো নিরবচ্ছিন্ন বৃষ্টি হচ্ছে। ঝড়ের সময় কি হবে জানি না।’
মোরেলগঞ্জ উপজেলার বহর বুনিয়া এলাকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘সিত্রাং যদি সিডরের মতো রূপ নেয়, তাহলে আমরা খুব বিপদে পড়ে যাব। নদী বেষ্টিত আমাদের এই ইউনিয়নকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষার জন্য কোনো বাঁধও নেই। জলোচ্ছ্বাস হলে, অনেক জান মালের ক্ষতি হবে।’
শুধু আব্বাস ও হাফিজুর নয়, বাগেরহাটের বেশির ভাগ এলাকার মানুষের শঙ্কা এটি। তবে সিত্রাং মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া ২৯৮ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৪ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন দেখা দিলেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর ও বিভিন্ন নদ-নদীতে থাকা নৌযানগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ঝুঁকির মধ্যে থাকা বাসিন্দাদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে। যদি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাহলে তাদের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র অথবা কোস্টগার্ডের বেজ ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।