বাগেরহাটের রামপালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাবা-ছেলের হামলায় মল্লিক দিদারুল আলম (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার তারাবির নামাজের পরে রামপাল উপজেলার কুমলাই গ্রামের আ. সাত্তার মল্লিক ও তাঁর ছেলে আবু বক্কর মল্লিকের পিটুনি ও দায়ের কোপে গুরুতর আহত হন দিদারুল। পরে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় হামলাকারী আ. সাত্তার মল্লিককে (৬৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আ. সাত্তার মল্লিকের ছেলে আবু বক্কর ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
নিহত মল্লিক দিদারুল আলম কুমলাই গ্রামের ইউনুস মল্লিকের ছেলে। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন বলেন, ‘আ. সাত্তারের স্ত্রী নেই। তার বিরুদ্ধে বলাৎকারের অভিযোগ রয়েছে। এই সমস্যার সমাধান করতে আ. সাত্তারকে বিয়ে করিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলে আবু বক্করকে পরামর্শ প্রদান করেন মল্লিক দিদারুল আলম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আ. সাত্তার মল্লিক ও তাঁর ছেলে আবু বক্কর মল্লিক দিদারুল আলমের ওপর হামলা করে।’
ওসি আরও বলেন, ‘রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আমরা হামলাকারী আ. সাত্তারকে গ্রেপ্তার করেছি। সাত্তারের ছেলে আবু বক্করকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে।’