হোম > সারা দেশ > খুলনা

ফসল তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে কৃষকেরা 

নড়িয়া (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় টানা বৃষ্টিতে ফসলের জমিতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে জমির ফসল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় হাহাকার করছেন কৃষকেরা। 

এলাকা সূত্রে জানা যায়, বেশির ভাগ কৃষকই এখন জমিতে রবি মৌসুমের ফসল আবাদ করছেন। আবার অনেক এলাকার জমি নিচু হওয়ায় বর্ষার পানি দেরিতে নেমেছে। তাই কৃষকেরা সেসব জমিতে দেরিতে আবাদ শুরু করায় এখনো বীজের অংকুর বের হয়নি। ফলে বীজ মাটি ভেদ করে ওঠার আগেই পানিতে তলিয়ে গেছে সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন, কালোজিরা ও গমের খেত। 

স্থানীয় কৃষকেরা বলেন, 'টানা বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে থাকায় লোকসানের পরিমাণ বেড়ে গেছে।' 

নড়িয়া উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর নড়িয়া উপজেলায় মোট ৭ হাজার ৩৫১ হেক্টর জমিতে ফসল আবাদ করা হয়েছে। দুর্যোগে আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ৬৩৪ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে আলু ৫৫০ হেক্টর, মসুর ১৫০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৩৫০ হেক্টর, খেসারি ২৫০ হেক্টর, রসুন ৭৫০ হেক্টর, মরিচ ৭০ হেক্টর, ধনে ১৬০ হেক্টর, কালোজিরা ১৪৫ হেক্টর, সরিষা ৪২০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৩৫০ হেক্টর, গম ১৮০ হেক্টর, ভুট্টার ৩০ হেক্টর জমি রয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, জাওয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে কৃষকের জমি তলিয়ে গেছে। আবার কিছু জায়গায় ফসলসহ জমি পানির নিচে ডুবে আছে। কেউ কেউ সপ্তাহখানেক হয় খেতে বীজ লাগিয়েছেন। এখনো ভালো করে বীজের কোনো অংকুর বের হয়নি। ফলে সেগুলো বাঁচার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে যাঁরা আগাম চাষ করে বিভিন্ন বীজ লাগিয়েছেন, তাঁদের কিছু অংশ ফসল বেঁচে যাবে বলে ধারণা করছেন কৃষকেরা। 

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলার নয়ন মাতবরকান্দি গ্রামের কৃষক দিন ইসলাম বলেন, 'এ বছর দুই একর জমিতে রসুন ও পেঁয়াজ আবাদ করেছি। এবার ফসল আবাদ করতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জমিতে পানি জমে গেছে। কোনো ফসল বাঁচার সম্ভাবনা নেই। এখন কোদাল নিয়ে জমির আইল কেটে পানি বের করার চেষ্টা করছি। পানি বের করতে পারলে যদি কোনো ফসল বাঁচানো যায়।' 

কৃষক আইয়ুব খান বলেন, 'এ বছর প্রায় পাঁচ একর জমিতে কয়েক রকমের ফসল আবাদ করেছি। এতে করে প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে ধারদেনা করে জমিতে ফসল লাগিয়েছি। এখন সব বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে আবার ফসল ফলানোর কোনো টাকা নেই। আমরা মাঠে মরে যাব।' 

এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলার কৃষি অফিসার মো. রোকন উজ্জামান বলেন, 'বৃষ্টির শুরু থেকেই আমরা কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফসল রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি। নড়িয়া উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের ফলে কৃষকের প্রায় ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা জানার চেষ্টা করছি কী পরিমাণ জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।' 

খুলনার পূর্ব রূপসায় যুবককে গুলি করে হত্যা

বাগেরহাটে জাপানপ্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট

অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান: চার ঘণ্টা পর আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করল পুলিশ

খুলনা ওয়াসা: প্রকল্প পরিচালক হলেন ষষ্ঠ গ্রেডের প্রকৌশলী

লেদ কারখানা থেকে উদ্ধার যন্ত্রাংশ দিয়ে ৩০ অস্ত্র তৈরি করা যেত: পুলিশ

খুলনায় ভাবিকে হত্যার অভিযোগে দেবর আটক

খুলনায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান, আটক ২

লিচুগাছে নারীর ঝুলন্ত লাশ, রয়েছে আঘাতের চিহ্ন

যৌথ অভিযানে অস্ত্র ও গুলিসহ গাংনীতে গ্রেপ্তার ১

মাথায় আঘাত ও বালিশচাপায় মাকে হত্যা, ৬ লাখ টাকা নিয়ে ছেলে উধাও