আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার পর যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন ও সচিব এএমএইচ আলী আর রেজাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এই কথা জানানো হয়। তাঁদের দুজনকেই মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে ওএসডি করা হয়েছে। বিষয়টি আজকের পত্রিকা নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র।
৩৬টি চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় একটি চক্র। এ ঘটনায় বোর্ড গঠিত তদন্ত কমিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব আলী আর রেজাসহ দুটি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা পায়। এর আগে দুদকের একটি তদন্ত কমিটিও তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির প্রাথমিক তথ্য পায়। যার ভিত্তিতে দুদক বোর্ড চেয়ারম্যান, সচিবসহ ওই প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে একটি মামলাও করে।
আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে গত অক্টোবরে মামলা করেন। ওই মামলার আসামিরা হলেন-যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম এবং শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম।
এরপর থেকেই বোর্ডের চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চলছিল।
এদিকে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যানের হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব। আজ মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।
অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব যশোর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।