যশোরে সারসংকট, অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতি। আজ সোমবার দুপুরে জেলা শহরের ভোলা ট্যাংক সড়কে সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নেতারা এই দাবি জানান।
দাবি মানা না হলে ৩১ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের (ডিসি) সামনে ‘ঘেরাও’ কর্মসূচি করা হবে বলে হুঁশিয়ারি জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ভিটু।
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে কৃষি কার্যালয়ের মাধ্যমে বোরো মৌসুমে সরাসরি কৃষকের হাতে প্রয়োজনীয় সার সরবরাহ; সারের বরাদ্দ ও ডিলারদের নাম; বরাদ্দের পরিমাণ জনসম্মুখে প্রকাশ; বহিরাগত ও ভুয়া ডিলারশিপ বাতিল; ভেজাল সার, বীজ ও কীটনাশক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা; অবৈধ ঘের অপসারণ; ঘের নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং কৃষিজমি আবাসন খাতে না দেওয়া।
জিল্লুর রহমান ভিটু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগের সরকারগুলোর মতোই কৃষকবিরোধী নীতি অনুসরণ করে চলেছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে গঠিত এই সরকার আগের মতোই কৃষিব্যবস্থা, উৎপাদন ও কৃষিপণ্যের মূল্যের ক্ষেত্রে কৃষকবিরোধী নীতি অনুসরণ করছে। সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও কৃত্রিম সংকটের ফলে কৃষক দিশেহারা। সারের মূল্যবৃদ্ধির অপচেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে সামনে ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষি উৎপাদন বিপন্ন হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ভেজাল সার ও কীটনাশক বিক্রেতাদের দৌরাত্ম্যে কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং কৃষক প্রতারিত হচ্ছেন। সংবাদপত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বিএডিসিতে বীজ আসার সঙ্গে সঙ্গে কর্মকর্তাদের পছন্দমতো নির্দিষ্ট লোকের হাতে চলে যায়। যত্রতত্র ঘের করায় জলাবদ্ধতা ও ফসলি জমি চাষের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। আবাসনের নামে কৃষিজমি কমানো হচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে কৃষিজমি রক্ষা করা দরকার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তসলিম-উর-রহমান, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল বিশ্বাস প্রমুখ।