গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় এক অংশীদারকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে আরেক অংশীদারের বিরুদ্ধে।
উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডের টুঙ্গিপাড়া প্যাথলজি সেন্টারে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত আজাদ শেখকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
আজাদের বোন সাবিনা ইয়াসমিন ও ভাতিজা সোলায়মান শেখ জানান, টুঙ্গিপাড়া প্যাথলজি সেন্টারের মালিক ছিলেন আজাদ ও টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ইয়ার আলী মুন্সী। ইয়ার তাঁর অংশ ছয় মাস আগে গিমাডাঙ্গা উত্তরপাড়া গ্রামের মারুফ শেখের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে আজাদ ও মারুফ সেন্টারটি পরিচালনা করে আসছিলেন। আজাদ একটি মামলায় জেলে গিয়ে তিন মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে মারুফের কাছে ব্যবসার আয়-ব্যয়ের হিসাব চান। এ নিয়ে তিন-চার দিন আগে থেকে তাঁদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
স্বজনদের অভিযোগ, আজাদ বৃহস্পতিবার রাতে প্যাথলজি সেন্টারে অবস্থান করার সময় মারুফ ও তাঁর লোকজন হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন। পরে আশপাশের লোকজন আজাদকে টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে মারুফ বলেন, ‘যারা আজাদকে মেরেছে, আমি তাদের কখনো দেখিনি। প্যাথলজির ভেতরে মারামারি হচ্ছে দেখে উল্টো আমি ঠেকিয়েছি। আর ঠেকাতে গিয়ে আমিও মারধরের শিকার হয়েছি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আজাদ এই কৌশল অবলম্বন করেছেন। যাতে তাঁকে আমি প্যাথলজির স্বত্বাধিকারী দিয়ে দিই।’
এ বিষয়ে টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’