গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাঠমিস্ত্রি কমলেশ বাড়ৈ (৪৫) হত্যা মামলায় নিহতের স্ত্রীসহ দুজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাকসুদুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন নিহতের স্ত্রী সুবর্ণা বাড়ৈ (৩৮) ও তাঁর পরকীয়া প্রেমিক একই এলাকার মহেন্দ্রনাথ বাড়ৈর ছেলে মনমথ বাড়ৈ (৪০)। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তালপুকুরিয়া গ্রামে পরকীয়ার জেরে ২০২০ সালের ২ মার্চ রাতে কাঠমিস্ত্রি কমলেশকে তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রান্না করা তরকারির মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেন। এরপর পরকীয়া প্রেমিকের সহযোগিতায় সুবর্ণা নিজের স্বামীর গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে বাড়ির পাশে একটি ঘেরপাড়ে লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখেন। দুই মাস পর ২৬ মে ওই ঘেরপাড় থেকে কমলেশের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিনই নিহতের ভাই রমেশ বাড়ৈ বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার দিনেই পুলিশ সুবর্ণা ও মনমথকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করলে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও সমস্ত নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে আজ মঙ্গলবার মামলার দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
বাদীপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন পিপি সুভাষ চন্দ্র জয়োধর ও অ্যাডভোকেট কাজী নজরুল ইসলাম। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এইচ এম মহিউদ্দিন।