গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ভোলানাথ দাস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গণপতি মণ্ডল নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এ ছাড়া মামলার অপর ১৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গণপতি মণ্ডল গোপালগঞ্জর মুকসুদপুর উপজেলার মহাটালী গ্রামের মৃত লক্ষণ মণ্ডলের ছেলে।
এ মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, দিনেশ মণ্ডল, রনজন মণ্ডল, বিমল মণ্ডল, চিন্ময় মণ্ডল, দীপক বিশ্বাস, যুগল বিশ্বাস, দীপক মণ্ডল, সমর রায়, বিষ্ণু রায়, সমর বিশ্বাস, পলাশ মণ্ডল, দুলাল মণ্ডল, বিপ্লব রায় ও কমলেশ ঘোষ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৫ জুন মুকসুদপুর উপজেলার মহাটালী গ্রামের ভোলানাথ দাসকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে গণপতি মণ্ডল ও তার ২৫ জন সহযোগী। পরে আহতাবস্থায় তাঁকে প্রথমে মুকসুদপুর হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৭ জুন তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ঝড়ু দাস একটি মামলা দায়ের করলে দীর্ঘ শুনানির পর আদালত গণপতি মণ্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং মামলার অপর ১৪ আসামিকে খালাস দেন। রায় ঘোষণার সময় সকল আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলায় বাদী পক্ষের এপিপি অ্যাডভোকেট মো. শহীদুজ্জামান খান ও অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট কাজী মেজবাহ উদ্দিন মামলাটি পরিচালনা করেন।