হোম > সারা দেশ > গাজীপুর

মা-বাবার ফেলে যাওয়া সেই ৩ শিশু থাকছে জরাজীর্ণ কুটিরে, খোঁজ নেন বাবা

গাজীপুরের শ্রীপুরে মা-বাবার ফেলে যাওয়া সেই তিন শিশুর আশ্রয় হয়েছে জরাজীর্ণ কুটিরে। প্রতিবেশী নারীর আশ্রয়ে বেড়ে উঠছে তারা। বাবা অন্যত্র বিয়ে করলেও মাঝে মধ্যে মোবাইলে কল করে খোঁজখবর নিলেও মার কোনো খোঁজখবর নেই। এ ছড়া শিশুদের মায়ের কোনো সন্ধান নেই তাঁর পরিবারের কাছেও।

আজ বুধবার সরেজমিনে উপজেলা গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামে গিয়ে কথা হয় শিশুদের আশ্রয় দেওয়া বৃদ্ধা শরিফার সঙ্গে। তিনি শিশু রুমি (০৬), জান্নাত (০৩) ও ফাহাদের (০২) দেখাশোনা করছেন এখন।

শরিফা বলেন, ‘সবাই ফেলে গেলেও আমার শিশুদের প্রতি মায়া হইছে, ‘তাই আমি ওদের দেখাশোনা করছি। আজ ওরা বাড়িতে নেই। এক জায়গায় বেড়াতে গেছে। শিশুদের বাবা রুকুন মিয়া মাঝেমধ্যে মোবাইল করে শিশুদের খোঁজখবর নেয়। সে এসে শিশুদের নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। তবে শিশুর মা ফাতেমা কোনো ধরনের খোঁজখবর নেয় না। আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিনে কোথাও দিব না। আমিই তাদের তিনজনকে মানুষ করব।’

শিশুদের বিষয়ে মোবাইলে কথা হয় বাবা রুকুন মিয়া সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি আপনার সঙ্গে কোনো কথা বলতে চাই না। আমি কি রকম রয়েছি সেটিই জানি না। বাচ্চাদের খবর কি বলব। আমার খবর খুবই খারাপ। আমি আমার ছেলে-মেয়েদের নিরাপদ আশ্রয়ে এনে রাখব।’

শ্রীপুর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মঞ্জরুল ইসলাম আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমরা শিশুর বাবার সঙ্গে মাঝে মধ্যে যোগাযোগ করছি। উনি বলছে—তার সন্তান সে এসে নিয়ে যাবে। ওরা (বাবা ও শরিফা) চাইলে তিন শিশুকে আশ্রয় কেন্দ্রে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’

উল্লেখ্য, তিন শিশুর বাবা-মা রুকন মিয়া ও ফাতেমা খাতুন। সন্তানদের নিয়ে শ্রীপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। দেড়-দুই মাস আগে ফাতেমা খাতুন দেশের বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। এরপর জানা যায়, তিনি প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছেন। এর কিছুদিন পর বাবা রুকন মিয়াও চলে যান। পরে তাঁর মোবাইলে কল করা হলে তিনি অন্য নারীকে বিয়ে করেছেন বলে জানান।

এদিকে দীর্ঘদিন থেকে শিশু তিনটির বাবা-মা ফিরে না আসায় বাড়ির মালিক তাদের বাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এরপর এলাকাবাসী শিশুদের বাবা-মা ফিরে আসবেন বলে প্রতিবেশী সরিফা খাতুনকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেন। কিন্তু তিন শিশুর ভরণপোষণ বহন করতে না পেরে ২ জানুয়ারি (সোমবার) তিনি থানায় হাজির হন। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রতিবেশি নানি শরিফার ঘরে আশ্রয় হয় তাদের।

শিশুর মায়ের নাম ফাতেমা। তিনি উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নিজ মাওনা গ্রামের মৃত জামুদ আলীর মেয়ে। শিশুর বাবার নাম রুকুন মিয়া। তিনি শেরপুর জেলার কৃঞ্চপুর দড়িপাড়া গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে।

জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শফিকুল মারা গেছেন

গাজীপুরে ২ বিদেশি পিস্তল ও ২৪টি গুলিসহ ‘মিয়া কসাই’ গ্রেপ্তার

লাউ চাষেই স্বপ্নপূরণ, দম্পতির মুখে সাফল্যের হাসি

‎হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

গাজীপুরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা: কুড়িগ্রাম থেকে অভিযুক্ত স্বামী গ্রেপ্তার

স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরকে ফোন, ‘এসে মেয়ের লাশ নিয়ে যান’

গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নানি-নাতনিসহ নিহত ৩

শ্রীপুরে ইটভাটায় ডেকে নিয়ে জাসাস নেতাকে হত্যার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১

‎টঙ্গীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে জুলাই যোদ্ধা তাহরিমা গ্রেপ্তার

টঙ্গীতে পোশাক কারখানার অর্ধশতাধিক নারী শ্রমিক অসুস্থ