গাজীপুরের শ্রীপুরে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মো. সোহেল সরকার ও তাঁর বন্ধুদের ওপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল সোহেল, তাঁর সঙ্গে থাকা এনামুল হক ও আল আমীন নামের আরও দুজনকে রড, লোহার পাইপ, হেমার দিয়ে আঘাত করে।
একপর্যায়ে হামলাকারীদের মধ্য থেকে তারিফ নামের একজন এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোকে কই গুলি করব—মাথায়, না বুকে।’ পরে অস্ত্রধারীরা সোহেল ও তাঁর বন্ধুদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
গতকাল শুক্রবার রাতে শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী বাজারের পাশে কোষাদিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সোহেল সরকার এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
আহত ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মো. রাসেল সরকার (৩৫), এনামুল হক (৩৫) ও আল আমীন (৩২। রাতেই তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন মাস্টারের ছেলে মো. রাসেল শেখ (২৬), তারিফ (২৫) ও জাহিদ (২৪)। তাঁদের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা সোহেল সরকার তাঁর বন্ধু এনামুল ও আল আমীনকে নিয়ে অসুস্থ শাশুড়িকে দেখার জন্য অটোরিকশায় করে যাচ্ছিলেন। অভিযুক্তরা কোষাদিয় এলাকায় পিস্তলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অটোরিকশা গতিরোধ করেন। এ সময় ২০ থেকে ২২ জনের একটি দল তিনজনের তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। অভিযুক্ত তারিফ একপর্যায়ে এনামুলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেন, ‘তোর কই গুলি করব—বুকে, না মাথায়।’
সোহেল সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযুক্ত রাসেল পুলিশের ওপর হামলা করে আসামি ছিনতাই, অস্ত্র, মাদকসহ একাধিক মামলার পলাতক আসামি। আমরা এলাকায় সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করি। সে জন্য রাসেল তার দলবল নিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হামলার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলা নেওয়া হবে। আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। অভিযুক্ত রাসেল একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। অপরাধীরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে কাজ করছে পুলিশ।’