দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কনস্টেবল নিয়োগে তদবির ও প্রতারণার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম মাফতুল হোসেন। তিনি নিজেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সামরিক উপদেষ্টা পরিচয় দিয়ে প্রার্থী নিয়োগে তদবির করেন।
দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
দুদক জানায়, মাফতুল হোসেন নিজেকে ‘জেনারেল আকবর’ পরিচয় দিয়ে বারবার দুদকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এ সময় তিনি দুই প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড পাঠিয়ে নিয়োগে সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ করেন। যোগাযোগের জন্য তিনি দুটি নম্বর ব্যবহার করতেন।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাঁকে রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত চারটি মোবাইল ফোন, দুটি সিম কার্ড, ডাচ–বাংলা ব্যাংকের ৬ লাখ টাকার একটি তারিখবিহীন চেক এবং দুদকের নিয়োগ পরীক্ষার দুই প্রার্থীর অ্যাডমিট কার্ড জব্দ করা হয়।
দুদক জানায়, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মাফতুল হোসেন ওই দুই চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ৯ লাখ টাকার স্বাক্ষরিত চেকও নিয়েছিলেন। মাফতুল হোসেন আগে পাসপোর্ট অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হিসেবে চাকরি করতেন। বিভিন্ন অভিযোগের কারণে বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি প্রতারণাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন।
দুদক জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেছেন, চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর নাম ব্যবহার করে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ডিজির কাছে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছিলেন। থানায় প্রতারণার অভিযোগে মামলা দিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই প্রতারণা চক্রে আরও সদস্য জড়িত বলে ধারণা দুদকের।
নিয়োগপ্রত্যাশী প্রার্থীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে দুদক কোনো ধরনের তদবির বা আর্থিক লেনদেনে জড়াতে না বলেছে এবং প্রতারণা চক্রের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে।