বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত দুর্নীতি, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, ‘এই গণ–অভ্যুত্থানে হাজারো ভাই জীবন দিয়েছে। তাঁদের স্বজনদের কান্না আমরা আর নিতে পারছি না। ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়েছে আমরা বিচার চাই। আমি শরীয়তপুরের এই মুক্তমঞ্চ থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই—যত দিন না এই খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা, আওয়ামী লীগ এবং তাঁর দোসর, যারা এই গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল, যত দিন না তাঁদের বিচার হচ্ছে, তত দিন এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক করার নৈতিক অধিকার রাখে না।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা যে ঐক্যবদ্ধ শক্তি নিয়ে ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থান ঘটিয়েছি সেই ঐক্যবদ্ধ শক্তি যদি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মধ্যে দলাদলি শুরু করি, ভাগাভাগি কিংবা মতাদর্শিক দ্বন্দ্ব শুরু করি, তাহলে পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার আমাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে দেবে। ছাত্র জনতা সকল দ্বন্দ্ব, রাজনৈতিক মতাদর্শ, বিভিন্ন বিভাজন, ধর্ম-বর্ণ ভুলে গিয়ে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল, আগামীতেও আমরা সেভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই।’
মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে মামলার নামে দেশে ব্যবসা শুরু হয়েছে। প্রকৃত অপরাধীদের সঙ্গে মামলায় জড়ানো হচ্ছে অনেক নিরপরাধ মানুষকে। মামলায় নাম দেওয়া এবং নাম কাটা নিয়ে বাণিজ্য চলছে।
এ সময় তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার কিংবা হয়রানি না করার অনুরোধ করেন সমন্বয়ক সারজিস আলম।
এর আগে সকাল ১০টায় শরীয়তপুর আসেন সারজিস আলমসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১০ সমন্বয়ক। দুপুর ১২টায় আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাঁরা।