রাজধানীর জুরাইনে পোস্তগোলা এলাকায় ছুরিকাঘাতে সজিব হোসেন (৩৫) নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে জুরাইন পোস্তগোলা আদ-দ্বীন হাসপাতালের পেছনে রেললাইনের পাশে একটি চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
সজিবকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী জাকির হোসেন ও জুয়েল জানান, সজিব গাড়ির ইঞ্জিন মেকার। থাকেন পোস্তগোলা কুলিবাগান তেলের মিল এলাকায়। তাঁর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায়। বাবার নাম ইয়াদ আলী।
প্রতিবেশীরা জানান, দুই মাস আগে সজিবের কাছ থেকে একই এলাকার শাহিন নামের এক যুবক ৬ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এরপর বিভিন্ন সময় সেই টাকা ফেরত চান সজিব। তবে ফেরত দেননি শাহিন। চলতি মাসের ৩ তারিখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। তবে ৩ তারিখ পার হয়ে গেলেও টাকা দেননি।
আজ বিকেলে শাহিনের কাছ থেকে টাকা চাইতে গেলে সজিবকে আদ-দ্বীন হাসপাতালের পেছনে রেললাইনের পাশে চায়ের দোকানে বসে অপেক্ষা করতে বলা হয়। কথামতো সজিব চায়ের দোকানে বসে অপেক্ষা করছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর পেছন থেকে এসে সজিবকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন শাহিন।
তখন আশপাশে থাকা ব্যক্তিরা তাঁকে থামিয়ে সজিবকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু সজিবকে গুরুতর জখম করে শাহিন দৌড়ে পালিয়ে যান। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তবে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রতিবেশীরা জানান, শাহিন মাদক কারবারি। এ ছাড়া পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সন্ধ্যার দিকে ওই যুবককে প্রতিবেশীরা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই যুবকের পিঠে কয়েকটি ছুরিকাঘাত রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।