রাজধানীর কদমতলী থানার মাতুয়াইল এলাকার একটি বাসা থেকে একটি ইংরেজি দৈনিক পত্রিকার প্রেস ম্যানেজার আশিকুল হক পিন্টুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। এর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ওই বাসা থেকে নিহতের কথিত প্রেমিকা শাফিয়া বেগমকে আটক করা হয়।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কদমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা। তিনি বলেন, প্রেস ম্যানেজার আশিকুল হক নিহতের ঘটনায় তাঁর বড় ভাই আরিফুল হক চৌধুরী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় নিহতের পরিবার আশিকুলের কথিত প্রেমিকা শাফিয়াসহ পাঁচজনকে আসামি করেছেন। আটক নারীকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ওসি বলেন, ‘শাফিয়া বেগম তাঁর ভাবিসহ ওই বাড়িতে থাকতেন। ভাবি গ্রামের বাড়িতে গেছেন। এ কারণে তিনি একাই ছিলেন বাসায়।’
শাফিয়াকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, পিন্টু রাত আড়াইটার দিকে ওই বাসায় আসেন। কিছুক্ষণ পর তিনি অসুস্থ বোধ করেন। রাত ৪টার দিকে পিন্টু চরম অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ওসি বলেন, ‘পিন্টুর শরীরে ক্ষতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।’
নিহত আশিকুল হক চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার কনিকারা গ্রামের ফজলুল হক চৌধুরীর ছেলে। তিনি অবিবাহিত ছিলেন। ব্যাচেলর হিসেবে তেজগাঁও থানার তেজকুনিপাড়ার একটি বাসায় থাকতেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।