রাজধানীর মতিঝিল এজিবি কলোনির একটি বাসা থেকে সেলিনা আক্তার (১৮) নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেলিনার স্বামী ও পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে খবর পেয়ে মতিঝিল থানা-পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোফাজ্জল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এজিবি কলোনির হাসপাতাল জোন এলাকার নিচতলায় বাসার দরজা ভেঙে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মরদেহ ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। ওই নারী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
সেলিনার স্বামী হুমায়ুন কবির আজকের পত্রিকাকে জানান, সেলিনার বাড়ি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। সেলিনার বাবার নাম সেলিম। পাঁচ মাস আগে দুজন প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ে করেন। মতিঝিল এজিবি কলোনির হাসপাতাল জোনের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন তাঁরা। তিনি নিজে একটি ছাপাখানায় কাজ করতেন। তাঁর স্ত্রী সেলিনা একটি কারখানায় কাজ করতেন।
হুমায়ুন কবির বলেন, ‘চলতি মাসেই সেলিনা অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক করে তার সঙ্গে ফেনীতে চলে যায়। পরে ফোনে যোগাযোগ করে তাকে (সেলিনা) আবার ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়ে আসি। এরপর সবকিছু ঠিক থাকলেও মঙ্গলবার রাতে আমার কাছে সব কথা খুলে বলে সেলিনা। ফেনীতে পালিয়ে যাওয়া ওই ছেলের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথাও স্বীকার করে সে। সে নিজের ভুল বুঝতে পারায় এসব শুনেও তেমন কিছু বলা হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ বুধবার দুপুরে বাসায় ভাত খেয়ে ছাপাখানায় চলে যাই। কিছুক্ষণ পরে প্রতিবেশীরা ফোন করে জানায়, সেলিনা রুমের ভেতর গলায় ফাঁস দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বাসায় গিয়ে দেখি রুমের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে থানায় খবর দিই। এরপর পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে সেলিনাকে রুমের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।’