শিক্ষার্থীদের হিজাব পরতে নিষেধ করার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষিকাকে পুনর্বহালের দাবিতে কর্তৃপক্ষকে সময় দিয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একদল সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী। আজ রোববার সকালে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানটির বেইলি রোডে প্রধান শাখার সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিলেও পরে অধ্যক্ষের অনুরোধে তা করেনি। একই সঙ্গে বসুন্ধরা শাখার শিক্ষার্থীরাও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি বাতিল করে ক্লাসে ফিরে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্রী আননিসা করিম বলেন, ‘আমরা আজ বেইলি রোড শাখার সামনে মানববন্ধন করতে গেলে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে কথা বলে। তারা তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের কাছে সময় চেয়ে আন্দোলন না করার অনুরোধ করে। অধ্যক্ষ মহোদয়ের অনুরোধে আমরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করিনি।’
গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ‘হিজাব পরতে নিষেধ’ করার অভিযোগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার শিক্ষক ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। অভিযুক্ত শিক্ষিকা তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছেন।
এদিকে বরখাস্ত হওয়া ওই শিক্ষিকাকে নির্দোষ দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা গত বুধবার বসুন্ধরা শাখায় ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করে তারা। তারা শিক্ষার্থীরা হিজাব পরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত শিক্ষিকাকে পুনর্বহাল, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপপ্রচারকারীদের শাস্তির দাবি জানায়।
ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অ্যাডহক কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা একটি তদন্ত পরিচালনা করছি। আমাদের বিশ্বাস, তদন্তে সত্য ঘটনা উঠে আসবে। সে অনুসারে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।’
এদিকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী কমিটির কোনো শিক্ষককে নিয়োগ ও বরখাস্ত করার এখতিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, অ্যাডহক কমিটির শিক্ষককে বরখাস্ত করার এখতিয়ার নেই, তা যে ইস্যুতেই হোক। এ প্রক্রিয়া অবৈধ। তারা শুধু নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। তবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএর সুপারিশ পাওয়া শিক্ষককে যোগদানের ব্যবস্থা করতে পারবে।