হোম > সারা দেশ > ঢাকা

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: ইমনের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। ওই মামলায় তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। ইমনের জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

ইমনের আইনজীবী বদিউজ্জামান তফাদার বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানার একটি মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে। চিত্রনায়ক হত্যা মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয় গত ১৮ এপ্রিল। এর আগে থেকেই ইমন কারাগারে রয়েছে।

১৯৯৮ সালে বনানী ট্রাম্পস ক্লাবে চিত্রনায়িকা দিতির স্বামী সোহেল চৌধুরী খুনের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ইমনকে গ্রেপ্তার করেছিল। কয়েক মাস জেল খাটার পর তিনি জামিনে ছাড়া পেয়ে ভারতে চলে যান। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুন কলকাতা পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ২০০১ সালে জামিন পান। সে বছরের অক্টোবরে ইমন দেশে ফেরেন। ২০০৪ সালে র‍্যাবের ধাওয়া খেয়ে তিনি আবার কলকাতায় চলে যান। পরে ২০০৮ সালের ৭ মার্চ ইমনকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দেয় কলকাতা পুলিশ। সেই থেকে কারাগারেই আছেন পুলিশের তালিকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন। 
শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের বিরুদ্ধে নায়ক হত্যা ছাড়াও বেশ কয়েকটি হত্যা মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়া পৃথক দুটি অস্ত্র মামলায় ১৭ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে তার।

সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকি ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন। বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয়। প্রত্যাহার করা হয় হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশও। কিন্তু সেই রায় আর নিম্ন আদালতে পৌঁছায়নি।

আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে উঠে আসে নথি গায়েবের খবর। বিষয়টি নিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর নথি খুঁজে বের করতে লিগ্যাল নোটিশের পর রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন ভূইয়া রাসেল। ওই রিটের পর নথি খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। 

হাইকোর্টের নির্দেশে নথি বের করে তা পাঠানো হয় বিচারিক আদালতে। শুরু হয় বিচার কাজ। ২১ বছর পর ২৮ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ শুরু হয় সাক্ষ্য গ্রহণ। ওই দিন সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা শুরু করেন। তবে জেরা শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট জেরা ও পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য রয়েছে।

ধানমন্ডিতে ককটেল বিস্ফোরণ

ঋণমুক্তির স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন সিয়াম, নিভে গেলেন হাতবোমায়

হাদি হত্যা: আদালতে ঘটনার যে বর্ণনা দিলেন প্রত্যক্ষদর্শী সেই রিকশাচালক

নারায়ণগঞ্জে কোটি টাকা মূল্যের নকল স্ট্যাম্প জব্দ, আটক ২

ফরিদপুর জিলা স্কুলের ১৮৫ বছর পূর্তি, জমকালো আয়োজনে নবীন-প্রবীণের মিলনমেলা

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

গজারিয়ায় পুলিশের টহল গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, সার্জেন্টসহ আহত দুই

রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজির সময় গণপিটুনিতে সম্রাট বাহিনীর প্রধান নিহত

সুজনের গোলটেবিলে পর্যবেক্ষণ: ভোটের খরচ না কমলে দুর্নীতিও কমবে না

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট