যারা ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি করে, তাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে বলে মন্তব্য করেছেন দৈনিক আমার দেশ সংবাদপত্রের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বাউল নাম ধরে একেবারেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কাজ যারা করছে, যারা ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তি করে, তাদের কোনো খারাপ উদ্দেশ্য আছে। তারা যে কেবল ইসলাম বিদ্বেষী, তাই নয়। এর পেছনে একটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। তাদের এগুলো বলানো হয়, যাতে করে বাংলাদেশে একটা অস্থিরতা তৈরি হয়।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ওয়ার্ল্ড মুসলিম উম্মাহ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘এ ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো আমাদের সকলের দায়িত্ব, কিন্তু শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাতে হবে। কোনো রকম সহিংসতা করবেন না। তাহলে পরে আমাদের আবার ইসলামী জঙ্গিসহ নানা রকম ট্যাগ দিয়ে তারা চেষ্টা করবে বাংলাদেশকে যাতে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা যায়।’
দল-মতের ঊর্ধ্বে মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঐক্যের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্র যাতে টিকে থাকে, সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে। আর সেটা করতে গেলে শুধু মুসলমানের ইউনিটি নিয়েই হবে না। মুসলমানের সাথে এই দেশে যে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী আছেন, তাঁদেরও সম্পূর্ণ অধিকার দিতে হবে। তাঁদের অধিকার দিয়েই রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হবে। সংখ্যালঘুদের হেফাজত করাও তো মুসলমানের কর্তব্য।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে সতর্ক করে মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘ভারত কিন্তু চাইবে না যে ফেব্রুয়ারিতে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশে হোক। কারণ বাংলাদেশে যদি ফেব্রুয়ারিতে একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয় এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে হস্তান্তর হয়, তাহলে ভারতের ষড়যন্ত্র করবার সুযোগ অনেক কমে যাবে। তো সেজন্যে আমাদের কিন্তু আগামী তিন মাস খুব সতর্ক থাকতে হবে। দেশে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হতে দেওয়া যাবে না, যাতে করে আমাদের এই গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থী যে দলেরই হোক না কেন, যদি কোনোভাবে আপনাদের কাছে মনে হয় যে একজন ভারতীয় দালাল, তাঁকে দয়া করে আপনারা ভোট দেবেন না। এইটুকু দায়িত্ব আপনাদের পালন করতে হবে।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল হক, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।