হোম > সারা দেশ > ঢাকা

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এলাকায় সিগারেটের দোকান বন্ধসহ ৫ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার আইনটি দীর্ঘদিন ধরে সংশোধনের প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিষয়ক নীতিগুলো সুরক্ষায় গ্রহণ করা হচ্ছে না কোনো সমন্বিত পদক্ষেপ। এসব সংকটে প্রতিনিয়ত লম্বা হচ্ছে মানুষের মৃত্যুর মিছিল। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা-২০২৩ সংশোধন করে তামাকের মতো ক্ষতিকারক পণ্যকে পুনরায় লাল তালিকাভুক্ত করা জরুরি। 

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তামাক কারখানায় পরিবেশ আইনের প্রায়োগিক সীমাবদ্ধতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, তামাকবিরোধী নারী জোট ও ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনা সভার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘তামাকজাত দ্রব্যের মতো স্বাস্থ্যহানিকর পণ্য উৎপাদনকারী কারখানা লাল তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরে মহাখালী ডিওএইচএসের মতো জনবহুল আবাসিক এলাকায় কারখানায় স্থাপন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়া প্রতিনিয়ত জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে।’

তিনি বলেন, ‘এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৭ সালে প্রণীত পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা অনুসারে লাল ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেটিকে কোনো বিবেচনায় ২০২৩ সালে থেকে লাল থেকে কমলা ক্যাটাগরিতে নিয়ে আসা হয়েছে তা প্রশ্ন সাপেক্ষ।’

উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে একটা অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা তামাকমুক্ত হব। ইতিমধ্যে তিন ভাগের এক ভাগ সময় চলে গেছে। এর মধ্যে তামাক লাল থেকে কমলা শ্রেণিতে নেমেছে। মানে আমরা উল্টো পথে চলছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আইনের মধ্যেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা সার্টিফিকেট নিলে জর্দার কারখানা করা যায়। তামাক পাতা তুলতে গিয়ে শ্রমিকদের নানা ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। তামাক বাগানগুলোতে বিকলাঙ্গ শিশু জন্মের পরিমাণ বেড়েছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) নির্বাহী পরিচালক ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘তামাক–সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে হবে এবং তা প্রয়োগ করতে হবে। তবে এই আইন যারা প্রয়োগ করবেন তাদেরই অনেক সময় ধূমপান করতে দেখা যায়। ২০৪০–এর মধ্যে আমরা তামাকমুক্ত দেশ গর্ব তার কোনো লক্ষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’

এ সময় তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণের একটি সংশোধিত রোড ম্যাপ তৈরি এবং নিরপেক্ষ সেল গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘তামাক কারখানাগুলোকে লাল তালিকা ভক্ত করতে হবে; ফসলি জমিতে তামাক চাষ নিষিদ্ধ করতে হবে; তামাক কারখানায় শিশু শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হলে শাস্তির বিধান দ্বিগুণ করতে হবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম আধা কিলোমিটারের মধ্যে সিগারেটের দোকান দেওয়া যাবে না।’ 

পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সহসাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ রাসেলের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পবার সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ময়না, সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী হেলাল আহমেদ, ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটির বাংলাদেশের সমন্বয়ক জীবন কুমার সরকার, সূচনা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।

হাদিকে গুলি: ‎২৪ ঘণ্টায় বিদেশি অস্ত্রসহ ৩৩ জন গ্রেপ্তার

সাভারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশু নিহত

যুগ্ম সচিবকে গাড়িতে জিম্মি করে ছয় লাখ টাকা দাবি করলেন চালক

বাসের ধাক্কায় লোহার গেট ভেঙে সিকিউরিটি গার্ড নিহত, রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির অভিযোগে ডিপো ইনচার্জ গ্রেপ্তার

চাঁদা না পেয়ে ডিশ-ইন্টারনেটের ব্যবসা দখল করতে যুবলীগ নেতাকে খুন—দাবি পরিবারের

হাদিকে গুলি: মূল আসামি ফয়সালকে মাইক্রোবাসে পালাতে সহায়তাকারী নুরুজ্জামান ৩ দিনের রিমান্ডে

নিরাপত্তা জোরদারে চেকপোস্ট বাড়াল ডিএমপি

মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে খুন: স্বামীর পর এবার গৃহকর্মী আয়েশার দায় স্বীকার

টাঙ্গাইলে দুই দিনে কুকুরের কামড়ে আহত ৪০

কেরানীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৪