মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে সেনাবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) অভিযান শেষ হতে না হতেই ফের শুরু হয়েছে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টার অভিযানে মাদক, অস্ত্র উদ্ধারসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু বাহিনী চলে যাওয়ার মাত্র দুই মিনিটের মাথায় গলির মুখে কিশোর-যুবকেরা হাতে হাতে গাঁজা, ইয়াবা ও হেরোইন নিয়ে ক্রেতাদের ডাকাডাকি শুরু করে।
আজ বেলা আড়াইটার দিকে সরেজমিনে দেখা গেছে এমন চিত্র।
এ সময় হুমায়ুন রোডের ময়লার গলি, বাবর রোডের মসজিদ গলি, বোবার বিরিয়ানির দোকানসংলগ্ন এলাকা ও ভেতরের আরও কয়েকটি স্থানে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি চলতে দেখা গেছে। তবে অভিযানের কারণে মাদকের ক্রেতা কম ছিল।
মঙ্গলবার যৌথ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, নগদ টাকা, ওয়াকিটকি সেট ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে , ওয়াকিটকি দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করত। এ সময় মো. ইয়ামিন (১৮), মো. আলামিন (৩০) ও মো. জামাল (২৮) নামের তিন জনকে আটক করা হয়।
প্রায় এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক কারবারিদের সংঘর্ষের জেরে গতকাল সোমবার শাহ আলম (৩৫) নামের এক কারবারিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। হত্যার পর পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী ও ডিএনসি দফায় দফায় অভিযান চালায়। ওই দিন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ফয়সাল (২৫) ও সেলিমকে (২৪) গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাঁদের কাছ থেকে দুটি ধারালো চাপাতি জব্দ করা হয়। একই রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল মাদক, দেশীয় অস্ত্রসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল দুপুরের অভিযানে আরও কয়েকজন আটক হয়। সব মিলিয়ে গ্রেপ্তার ১৬ জন।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান জানান, শাহ আলম হত্যার ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। ক্যাম্পের বাজারের ভুক্তভোগীরা সাধারণত মামলা করতে চান না, নিজেদের হিসাবনিকাশ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেন।
ডিএনসির ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক যাচাই চলছে, মামলা হলে বিস্তারিত জানানো হবে।