আওয়ামী লীগের কর্মী সন্দেহে একজনকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশ থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করে বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতা। পরে গুলিস্তানের রমনা ফিলিং স্টেশনে এনে তাঁকে মারধর করে কাছেই একটি মার্কেটে এক ঘণ্টা ধরে আটক করে রাখা হয়। এরপর বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক ব্যক্তির নাম মো. মুবিন। মুবিনের গ্রাম চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলায়। তাঁর বাবার নাম মোস্তফা ব্যাপারী। মুবিন জানান, তিনি গত তিন বছর ধরে কেরানীগঞ্জে নিজেদের বেকারিতে কাজ করেন।
আওয়ামী লীগ সন্দেহে আটক মো. মুবিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ফেসবুকে আওয়ামী লীগের পোস্ট ছিল, এ জন্য আমাকে মারধর করেছে।’ পোস্ট শেয়ারের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগকে ভালো লাগে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভালো লাগে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলার গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি মেহেবুবা আক্তার জানান, আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রথমে আটক করে বিক্ষুব্ধ জনতা। প্রায় এক ঘণ্টা তাঁকে মার্কেটের ভেতরে আটকে রাখা হয়। পরে পুলিশ চলে গেলে আবার এসে তাঁকে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিস্তানের একটি জায়গা থেকে প্রথমে তাঁকে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার সন্দেহে আটক করা হয়। তাঁর ফোন চেক করে দেখা যায়, সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম শেয়ার করেছেন। পরে তাঁকে ছাত্র-জনতা আটক করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মুন্সিগঞ্জ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. বাবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যাঁকে আটক করা হয়েছে, তিনি জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছিলেন। তাঁর ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগের পোস্ট ছিল এবং তিনি আওয়ামী লীগের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত ছিলেন। হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও ক্লিপসও ছিল। এ জন্য তাঁকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।