পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে পরিবারের ৯ সদস্যের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ঋণের ৫ শতাংশ অর্থ ৩০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
শারমিন আহমেদ ও তানিয়া আহমেদকে আদালতে হাজির করার পর আজ বুধবার বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
এর আগে বুধবার ভোরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে খবির উদ্দিনের দুই মেয়েকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে নির্দেশ মতো তাদের হাইকোর্টে হাজির করা হয়। এসময় জামিন চাইলে আদালত তাদের পাসপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দেন। পরে তাৎক্ষণিক দুজন তাদের পাসপোর্ট আদালতে জমা দেন।
পরে তাদের আইনজীবী মুক্তি চাইলে আদালত বলেন, পরিবারের বাকি ৯ জনের পাসপোর্ট দাখিল করার আগ পর্যন্ত তারা র্যাবের হেফাজতে থাকবেন। আর যদি কারও পাসপোর্ট না থাকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেবেন।
আদালতে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, ৭ মার্চ হাইকোর্ট ঋণ খেলাপিদের একটি অংশকে হাজির হওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন। আর ২০ এপ্রিলও অনেককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। তবে অনেকেই হাজির হননি। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে বলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দুই বোনকে হাজির করা হয়।
আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, কাউকে কারাগারে পাঠানো আদালতের ইচ্ছে নয়। আদালত চান খেলাপি ঋণ উদ্ধার হউক। টাকা উদ্ধার করতে পারলে হয়তো কোম্পানিটি আবারও চালানো যাবে।
দুই বোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আবু তালেব। তিনি বলেন, দুই বোনের একজন দেশে এসে অসুস্থ হন। আর একজনের শাশুড়ি মারা যায়। এর কারণে তারা হাজির হতে পারেননি।
জানা যায়, দুই বোন প্রায় ২০ বছর ধরে কানাডায় অবস্থান করছেন। পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গত ২৮ জুলাই তারা দেশে আসেন। বুধবারই দেশত্যাগের পরিকল্পনা ছিল তাদের।