গাজীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে একটি সচল পিস্তল, তিনটি গুলিভর্তি একটি ম্যাগাজিন ও একটি খালি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) গাজীপুরের জয়দেবপুর, শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (৪ অক্টোবর) অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজনের মধ্যে তিনজন গাজীপুর জেলার এবং দুজন ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁরা হলেন শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী বাড়ি (মাটির মসজিদ) এলাকার মোশারফ হোসেন মনসুরের ছেলে ইমরান হোসেন (২২), জেলার জয়দেবপুর থানার ভবানীপুর এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে আশিকুল ইসলাম (১৯), গাজীপুর মহানগর সদর থানার লাগালিয়া (দক্ষিণপাড়া) এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান ইমন (২৩), শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের বজলুর রশিদের ছেলে শাহারিয়ার রহমান সাদাফ (২২) এবং কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার নতুনবাজার এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হাসান রোমান (২২)।
জেলা ডিবির পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ভবানীপুর বাজারে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তিন সন্ত্রাসী অবস্থান করছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে রাত পৌনে ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে সুমনের গ্যারেজের সামনে থেকে ইমরান হোসেন, আশিকুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, অস্ত্রগুলো শাহারিয়ার রহমান সাদাফ ও মোজাম্মেল হক রোমান নিয়ে গেছে। ওই রাতেই ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে শাহারিয়ার রহমান সাদাফ ও মোজাম্মেল হক রোমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সাদাফের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ বাজারে তাঁর খালু আব্দুল খালেকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে টিনশেড বিল্ডিংয়ের একটি কক্ষের ওয়ার্ডরোবের ড্রয়ার থেকে অস্ত্র ও গুলিভর্তি ম্যাগাজিনটি উদ্ধার করা হয়। আসামিরা জব্দকৃত অস্ত্রের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
পরিদর্শক হাসমত উল্লাহ আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মেহেদী হাসান ইমনের বিরুদ্ধে তিনটি এবং ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে।
তিনি জানান, আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার, মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক জমি দখল, খুন-জখমের হুমকিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ আব্দুল বারিক জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।