ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে অন্তত ১৫ জন শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে লোকপ্রশাসন বিভাগের এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিভাগটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফকরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অভিযোগ হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি জরুরি একাডেমিক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কমিটিকে ইতিমধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমানকে। সদস্য হিসেবে রয়েছেন ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও ড. মোহাম্মদ জুলফিকার হোসেন। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার অন্তত ১৫ শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন যে—অভিযুক্ত ছাত্রী ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সহপাঠীদের নাম ও ছবি বিকৃতভাবে ব্যবহার করে অসংগতিপূর্ণ, কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক কনটেন্ট ছড়িয়ে দিয়েছেন। এতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত মর্যাদা, সামাজিক অবস্থান ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গুরুতর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান বলেন, ‘আমরা আগামীকাল থেকে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করব। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেব।’