দুর্নীতির মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ নির্দেশ দেন।
কলিমুল্লাহকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, কলিমুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এ দুর্নীতির সঙ্গে কারা কারা জড়িত, কাদের নির্দেশে তিনি দুর্নীতি করেছেন, তা উদ্ঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এ সময় কলিমুল্লাহর পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।
এ সময় আদালত বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। আপনি কেন এসব কাজে জড়িত হলেন?’ জবাবে কলিমুল্লাহ বলেন, ‘সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির নির্দেশ অনুযায়ী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নকাজ হয়েছে। তাঁর নির্দেশেই সব কাজ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমি দায়ী নই।’
পরে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে দুদকের বিশেষ পিপি তরিকুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।
৭ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে পুলিশ ড. কলিমুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে। দুদক তাঁকে আদালতে হাজির করলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ১৮ জুন বেরোবির একটি বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কলিমুল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ‘অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ’ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) উপেক্ষা করে প্রকল্পের নকশা পরিবর্তন করেছেন।