মায়ের সঙ্গে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী থেকে শ্রীনগর উপজেলার পাড়াগাও গ্রামে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিল শিশু তারকিব (৫)। মা শ্রীনগর উপজেলার পাড়াগাও গ্রামে আত্মীয়ের বাসার কাছাকাছি এসে অটোরিকশার ভাড়া দিচ্ছিলেন। এ সময় শিশু তারকিব রাস্তার উল্টো পাশে যাওয়ার জন্য দৌড় দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ভোজ্যতেলবোঝাই ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানের নিচে পড়ে যায় শিশুটি। আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার বেজগাও-তন্তর সড়কের পাড়াগাও গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা শিশু তারকিবকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে স্থানীয় বাসিন্দারা ভ্যানচালক মারুফ শেখ (২০) ও তাঁর সহকারীকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে মারধর করেন। একপর্যায়ে চালক মারুফ পালিয়ে যান। তবে পুলিশ গিয়ে সহকারীকে আটক করে। কিন্তু শিশু তারকিবের মৃত্যুর খবর শুনে অনুশোচনা থেকে মারুফ স্বেচ্ছায় শ্রীনগর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
তারকিব টঙ্গিবাড়ী উপজেলার কাইচাইল গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে। সে তার মায়ের খালু পাড়াগাও গ্রামের রাজা শেখের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল।
ভ্যানচালক মারুফ বাড়ৈগাও গ্রামের প্রবাসী শহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি শ্রীনগরে একটি কোম্পানির ডিলারের পণ্য পরিবহনের কাজ করেন।
আজ সন্ধ্যায় থানায় ভ্যানচালক মারুফ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শিশুটি দৌড় দিয়ে ভ্যানের নিচে পড়ে যায়। ভ্যানটি দ্রুত থামিয়েও ওকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার ভ্যানের নিচে একটা প্রাণ শেষ হয়ে গেল, তা কোনোভাবেই মানতে পারছি না। এই অনুশোচনা থেকে আমি থানায় এসেছি।’
শ্রীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ভ্যানচালক স্বেচ্ছায় থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাঁর সহকারীকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।