রাজধানীর পল্লবীতে প্রকাশ্যে সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যার মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রহমান ছিদ্দিকী এই তারিখ ধার্য করেন।
অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদনের দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত পুনরায় দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১২ মে একই আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলার বাদী ও নিহত সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগমের জবানবন্দি গ্রহণ করে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন যাঁদের আসামি করেছেন তাঁরা হলেন এম এ আউয়াল, সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন।
গত বছরের ১৬ মে বিকেলে জমির বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে এই হত্যাকাণ্ডের সময় সাহিনুদ্দিনের ছেলে উপস্থিত ছিল। ঘটনায় নিহতের মা আকলিমা বেগম গত ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।