বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। এই রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে আবরারের পরিবার।
রায়ের বিষয়ে আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, `আমরা আপাতত সন্তুষ্ট, তবে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যদি এ রায় বহাল রাখেন এবং কার্যকর হয়, সেদিন আমরা পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট হব। সরকার যেন এই রায় দ্রুত কার্যকর করে, সে জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। আর কোনো মায়ের কোল যেন খালি না হয়, সে আশা রাখছি। আমি মনে করি, এই রায় সারা দেশে দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।'
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিনিয়ত আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হলে এমন নির্যাতন চলে। আবরার হত্যা মামলার এই রায় তাদের জন্য একটি ম্যাসেজ এবং দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর রাজনৈতিক দলগুলো যে নির্যাতন চালায়, তাদের জন্যও এটি সতর্কবার্তা।
মোশারফ হোসেন বলেন, `এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আমি অনুরোধ করব, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে এমন ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ক্ষমতার অপব্যবহার করা যাবে না। ছাত্রলীগ করলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের হতে হবে।'
রায় ঘোষণার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মেদ বলেন, এ রায়ে আসামিপক্ষ সন্তুষ্ট নয়। এই মামলায় যারা মাস্টারমাইন্ড ছিল, তাদের এ মামলায় আনা হয়নি। অনেক সাক্ষীর বক্তব্য সেভাবে শোনা হয়নি। আমরা এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করব।