আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১১ শিক্ষার্থীসহ ৭৫ জন। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. জাকির হোসেন অব্যাহতির এই আদেশ দেন।
তদন্ত শেষে এ মামলায় আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামিদের অব্যাহতি দেন বলে জানান শিক্ষার্থীদের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক।
এর আগে ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালতে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এটি ২০২২ সালের ২৪ মার্চ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি গায়েবি মিথ্যা মামলা।
অব্যাহতিপ্রাপ্ত জবি শিক্ষার্থীরা হলেন হিসাববিজ্ঞান বিভাগের রওশন-উল ফেরদৌস ও শাহীন ইসলাম, বাংলা বিভাগের শ্রাবণ ইসলাম রাহাত, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফাহাদ হোসেন, মনোবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুর রহমান অলি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইব্রাহিম আলী, মেহেদী হাসান ও ওবায়দুল, ইতিহাস বিভাগের ইসরাফিল, লোকপ্রশাসন বিভাগের মেহেদী হাসান ও সংগীত বিভাগের আল মামুন রিপন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধের দাবিতে মিছিল করে জামায়াত-শিবির। এ ঘটনায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় ১১ শিক্ষার্থীসহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করে পুলিশ। পরে গেন্ডারিয়ার একটি বাড়ি থেকে ওই বছরের ২৪ মার্চ দিবাগত রাতে জবির ১১ শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ।
দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর তাঁরা জামিনে মুক্তি পান। এরপর তাঁরা মামলায় নিয়মিত আদালতে হাজিরা দিতে থাকেন।