মেজর (বরখাস্ত) সৈয়দ জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার, দণ্ড স্থগিত, পুনর্বহাল ও পদোন্নতিসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে মেজর জিয়াউল মুক্তি পরিষদ। তারা ২০১৩-২৪ সালের সব জঙ্গি অপারেশনের ওপর স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর তথ্য সংশোধন, পুলিশের পুরস্কার ঘোষণার অসত্যতার বিষয়ে ব্যাখ্যা দাবি এবং তিন মৃত্যুদণ্ড রেফারেন্স মামলা থেকে খারিজ করার দাবি জানিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এসব দাবি জানায় মেজর জিয়াউল মুক্তি পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহিন। পরে বেলা দেড়টার দিকে মামলা প্রত্যাহারসহ তাঁর স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করেন তাঁরা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় ন্যারেটিভের ‘অপব্যবহার’ করে মেজর জিয়াউল হককে সাজানো অভিযোগ ও মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। জিয়াউল হকের মামলা শুধু একজন ব্যক্তির নয়; এটি সত্য, ন্যায়বিচার ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম।
আরও বলা হয়, মেজর জিয়াউলসহ দেশপ্রেমিক অফিসারদের অন্তর্দহন শুরু হয় ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সেই ভয়াবহ ঐতিহাসিক মুহূর্ত থেকে। তিনি ছিলেন সেই তরুণ অফিসারদের একজন, যাঁদের ওপর সেই নৃশংস হত্যাকাণ্ড গভীর রেখাপাত করেছিল। পিলখানার নিহত ব্যক্তিরা ছিলেন তাঁদেরই সিনিয়র বা জুনিয়র কিংবা কোর্সমেট।
অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাজানো ক্যুর পরও তাঁকে (জিয়াউল) আটক করতে না পেরে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিরুদ্ধে লেগে যায়, তাঁরা তাঁকে বানিয়ে দেয় জঙ্গি কার্ডের পোস্টার বয়। তাঁকে কাল্পনিকভাবে আনসার আল ইসলাম, জেএমবি, আইএসসহ একাধিক সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতা বানানো হয়। এমনকি মেজর জিয়াউল হককে বানানো হয় ‘জঙ্গি কার্ডের পোস্টার বয়’ ও ২০১৬ সালে পুলিশ সদর দপ্তর কর্তৃক ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা ও মিডিয়ায় প্রচার করা হয়, যা সম্পূর্ণ অবৈধ, প্রমাণহীন ও নথিবিহীন।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন ঘোষণাপত্র পাঠসহ মানবাধিকার রক্ষা ও স্বৈরাচারের বিভিন্ন দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরেন সংবাদ সম্মেলনের সভাপতি ও মেজর জিয়াউল মুক্তি পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক সাবেক কূটনীতিক সাকিব আলী। এ সময় বক্তব্য দেন কর্নেল (অব.) জাকারিয়া হোসেন।