নারী প্রশিক্ষণার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তাঁর সহযোগী এক নারীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিকেলে তাঁদের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন প্রসিকিউশন দপ্তরের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই তাহমিনা হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল রোববার দুজনকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। গত ১৪ মে রফিকুল ইসলাম নিউটনের বিরুদ্ধে জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের একজন নারী খেলোয়াড় নারী-শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র্যাব-১২ এর একটি অভিযানিক দল রাজধানীর শাহ আলী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি মো. রফিকুল ইসলাম নিউটন ও তাঁর সহযোগী ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার নিউটন অ্যাসোসিয়েশনের গ্রেপ্তার নারী খেলোয়াড়ের সহায়তায় অন্য নারী খেলোয়াড়দের মিথ্যা প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানিসহ জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করতেন।
মামলায় বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী নারী গত দুই বছর ধরে রফিকুল ইসলাম নিউটনের অধীনে জুজুৎসু খেলার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আসছিলেন। খেলার প্রশিক্ষণ চলাকালীন নিউটন বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগী নারীকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করতেন। পরে ভুক্তভোগী প্র্যাকটিস শেষে ড্রেসিং রুমে পোশাক পরিবর্তন করার সময় গ্রেপ্তার নারী ভুক্তভোগীকে রুমের মধ্যে আটকে রেখে রফিকুল ইসলামকে ডেকে আনেন। রফিকুল ইসলাম নিউটন সেখানে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন।
এরপর নারী খেলোয়াড় রুমে প্রবেশ করে মোবাইলে ভুক্তভোগীর নগ্ন ছবি ধারণ করেন এবং কাউকে জানালে এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। কিছুদিন পর রফিকুল ইসলাম ভুক্তভোগীর নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে রাজধানীর একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে ভুক্তভোগীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন–