সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে ঘর ছেড়েছিলেন তাজকিয়া তাবাসসুম নামে এক শিক্ষার্থী। দাখিল পরীক্ষা শেষ করে মায়ের ফোন নিয়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেখানেই পরিচয় হয় এক নারীর সঙ্গে। সেই নারীই তাকে ‘কথিত হিজরতের’ জন্য তাকে ঘর ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। একই উদ্দেশ্যে আরও আট তরুণ-তরুণী বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা হন। পরে ২৫ ডিসেম্বর র্যাব তাঁদের উদ্ধার করে।
আজ সোমবার দুপুরে র্যাব সদর দপ্তরে হিজরতে বের হওয়া ৯ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তাজকিয়া তাবাসসুম তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।
তাজকিয়া বলেন, ‘আমার নিজের মোবাইল নেই। মায়ের মোবাইল দিয়ে নতুন ফেসবুক আইডি খুলেছিলাম। এরপর ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপের ইসলামি পোস্টে লাইক-কমেন্টস করতাম। এসব গ্রুপে ইসলামের খণ্ডিত বিভিন্ন আলোচনা পোস্ট করা হতো। সেখান থেকে আরেক আপুর (তরুণীর) সঙ্গে পরিচয় হয়। তার মাধ্যমে একটি মেসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত হই। গ্রুপে ইসলামের বিভিন্ন আলোচনা করা হতো। সেখান থেকেই হিজরত সম্পর্কে জানতে পারি। বাড়ি থেকে বের হওয়ার তিন দিন আগে জায়গা নির্ধারণ করা হয়।’
তাজকিয়া তাবাসসুম আরও বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে যখন ছাড়া পাই, তখন বাস ছেড়ে দেয়। আমরা এসে বাস পাইনি। পরে চট্টগ্রামের এক হোটেলে উঠি। সেখান থেকেই র্যাব আমাদের উদ্ধার করে। পরে র্যাব আমাদের কাছে বাড়ি ছাড়ার কারণ জানতে চায়। তারা আমাদের বাড়ি ছাড়ার পেছনে ধর্মের অপব্যাখ্যা ও ভুল ধারণা সম্পর্কে বোঝালে আমরা সঠিক পথে আসতে উদ্বুদ্ধ হয়।’