জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার বিভিন্ন সমস্যা ও ঘাটতি পূরণে নতুন সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। নতুন সাবস্টেশনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা শক্তিশালী হবে। একই সঙ্গে অধিক পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের তত্ত্বাবধানে গত ২১ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত তিন দিনের প্রচেষ্টায় সাবস্টেশনের নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন প্রক্রিয়ার অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন করা হয়। তবে বৈদ্যুতিক মোটর, এসি ও বিভিন্ন সরঞ্জামের লাইন যাচাই এবং পাওয়ার ফ্যাক্টর সমন্বয়সহ আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। যা চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
২০০৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার জন্য ২০০০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন সাবস্টেশন স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার বিস্তৃতি ঘটে। দীর্ঘসময় ধরে একমাত্র ওই সাবস্টেশনটির মাধ্যমেই সার্বিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় ধীরে এর ক্ষমতা কমতে থাকে। যার ফলে স্টেশনটি লোড নিতে পারত না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বর্তমান সাবস্টেশনটিও ২০০০ কেভিএ ক্ষমতাসম্পন্ন। নতুন সাবস্টেশনটি স্থাপনের ফলে ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সরবরাহে আর কোন বিঘ্ন সৃষ্টি হবে না। এর মাধ্যমে বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে কারণ এটি অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন। সাবস্টেশন স্থাপনের সার্বিক কাজ সম্পন্ন হলে ইলেকট্রিক লাইসেন্সিং বোর্ড এটি পর্যবেক্ষণ করে সার্টিফিকেট দেবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, কিছু খুঁটিনাটি কাজ বাদে সাবস্টেশনটি স্থাপনের বাকি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নতুন সাবস্টেশন স্থাপনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সমৃদ্ধ হবে।
হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, আগের সাবস্টেশনের কার্যক্ষমতা কমতে কমতে প্রায় ১২০০ কেভিএ হয়ে গিয়েছিল। সে জায়গায় নতুন সাবস্টেশনটির ফলে অধিক পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাবে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই ভালো হবে।