ফরিদপুরের মধুখালীতে সোনার বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতাকে দুই দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন ফরিদপুর আদালত। আজ সোমবার তাঁকে আদালতে পাঠানো হলে এই রিমান্ড দেওয়া হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ননী গোপাল।
এর আগে রোববার রাতে বালিয়াকান্দি বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মধুখালী থানা-পুলিশ। ফরিদপুরের মধুখালীর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কামারখালী টোলঘর এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোনার বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ছাত্রলীগ নেতার নাম তৌফিক খান সাদিদ (২৫)। তিনি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি এবং উপজেলার ইলিশকোল গ্রামের মান্নান খানের ছেলে। তাঁর বাবাও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা।
সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত বালিয়াকান্দি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌফিক খান সাদিদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে সোমবার ফরিদপুর আদালতে চালান করা হয়। আদালতে তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ননী গোপাল বলেন, সোনা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে ব্যবসায়ী রাসেল মিয়া মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে রাতেই মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের আড়পাড়া গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে রইচ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রইচের জবানবন্দির সূত্র ধরে গতকাল সন্ধ্যায় তৌফিক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ননী গোপাল বলেন, গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হলে তৌফিক খান সাদিদকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কামারখালী গড়াই সেতুর টোলঘর এলাকায় সোনার বার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। রাসেল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী প্রায় দেড় কোটি টাকা মূল্যের ২০টি স্বর্ণের বার কুমিল্লা থেকে চুয়াডাঙ্গায় নিয়ে যাওয়ার সময় ছিনতাইয়ের শিকার হন। পরে এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।