মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বয়রাগাদী ইউনিয়নে দুটি কালভার্ট নির্মিত হলেও সংযোগ সড়কে মাটি না থাকায় চলাচলে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চালকেরা। দুই পাশে মাটি না থাকায় যান চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। গর্ত আর ধসে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও।
জানা গেছে, উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের হাজিবাড়ী মসজিদসংলগ্ন খালের ওপর এবং বয়রাগাদী-মালখানগর সড়কের খালের ওপর দুটি ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের কালভার্ট নির্মাণ করা হয় ২০২১-২২ অর্থবছরে। প্রতিটির ব্যয় ধরা হয় ৮৯ লাখ ২৭ হাজার ৭৫৭ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল মেসার্স জোনায়েদ এন্টারপ্রাইজ।
কালভার্ট দুটি নির্মাণের পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সংযোগ সড়ক পাকা হয়নি। এমনকি প্রয়োজনীয় মাটিও দেওয়া হয়নি। বৃষ্টিতে মাটি সরে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেতুতে উঠতে গিয়ে হেলে পড়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির মুখে পড়ছে যানবাহন ও যাত্রীরা। অটোরিকশাচালক আওয়াল শেখ বলেন, ‘কালভার্ট আছে, কিন্তু রাস্তা নেই। এই অবস্থায় চলাচল করা খুব বিপজ্জনক। আমরা দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাই।’ আরেক চালক মো. রুবেল বলেন, ‘সেতুতে উঠতে গিয়ে গাড়ি কাত হয়ে যায়। যাত্রীরা ভয় পায়। বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ স্থানীয় বাসিন্দা আল মাহমুদ বলেন, ‘সরকার কোটি টাকা খরচ করে কালভার্ট করেছে, কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় তা পুরোপুরি কাজে আসছে না।’
বয়রাগাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘নির্মাণের পর থেকে সংযোগ সড়ক পাকা হয়নি। বর্ষায় মাটি সরে গিয়ে জনগণ দুর্ভোগে পড়ে। আমি একাধিকবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তারা কাজ করবে বলে জানিয়েছে। আবারও জানাব।’
উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘যে ঠিকাদার কাজ করেছেন, তাঁর জামানতের অর্থ এখনো পরিশোধ করা হয়নি। তাঁকে বলা হয়েছে দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করতে।’