আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজি মোহাম্মদ সেলিম। আজ সোমবার এক শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য তাঁকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
রাজধানীর লালবাগ থানায় দায়ের করা আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে আদালতে হাজির করার পর এজলাসে আসামিদের কাঠগড়ায় রাখা হয় হাজি সেলিমকে। তাঁর হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।
কাঠগড়ায় ওঠানোর পরেই তিনি কাঁদতে শুরু করেন। একপর্যায়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। মাঝেমধ্যে মুখ ঢেকে রাখেন।
শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, তিনি খালিদ সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় জড়িত। তখন তিনি হাত নেড়ে অস্বীকার করেন। ইশারায় তিনি জানান, তিনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নন।
একসময় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে বলা হয়, হাজি সেলিম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করেছেন। তখনো তিনি হাত নেড়ে অস্বীকার করেন।
শুনানির আগে আইনজীবী নিয়োগের জন্য হাজি সেলিমকে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করার অনুমতি দেন আইনজীবী প্রাণনাথ। তাঁকে স্বাক্ষর করতে বললে তিনি স্বাক্ষর করতে পারেন না। তাঁর হাত অচল বলে তিনি ইশারায় জানান। এরপর আইনজীবী তাঁর টিপসই নেন।
রিমান্ড আবেদন শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অ্যাডভোকেট প্রাণনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাজি সেলিম বাক্প্রতিবন্ধী। তিনি কথা বলতে পারেন না। তাঁর হাত অচল। লিখতে পারেন না। এসব কথা আদালতকে বলা হয়েছে। তারপরও আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।