কুমিল্লার হোমনা উপজেলায় থাকা ১০টি মাজারের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আছাদপুর গ্রামে মাজারে হামলা ও বাড়িতে আগুনের ঘটনার পর এই নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আজ শনিবার দুপুরে মাজারগুলোতে পুলিশ সদস্যদের পাহারায় থাকতে দেখা যায়। গতকাল শুক্রবার বিকেল এই পাহারা শুরু হয়েছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীও টহল দিচ্ছে। হামলার ওই ঘটনায় দুই দিনেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার নেই।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কোনো মাজারে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে না পারে, সে জন্য আছাদপুরের কফিল উদ্দিন শাহর মাজার, হাওয়ালী শাহ (বাবুল), আবদু শাহর এবং পঞ্চবটির সোলেমান শাহর মাজারসহ উপজেলার ১০টি মাজারে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
এর আগে গত বুধবার আছাদপুর গ্রামের ফকির বাড়ির এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্টকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে মুসলিম জনতার ব্যানারে সভা হয়। সভায় নেতারা এলাকায় যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেন। এরপরও বিক্ষুব্ধ জনতা কফিল উদ্দিন শাহ, কালু শাহ, হাওয়ালী শাহ (বাবুল) ও আবদু শাহর মাজারে হামলা-ভাঙচুর করে। এ ছাড়া গ্রেপ্তার ব্যক্তির বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করে। মামলায় শনিবার দুপুর পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার নেই।
আরও খবর পড়ুন: