চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে শহিদুল ইসলাম শহিদ নামের এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার গয়েশপুর সীমান্তের ৭০ নম্বর পিলারের কাছে ভারতের ভেতরে শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শহিদুল গয়েশপুর গ্রামের নস্কর মালিথার ছেলে। তিনি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র বলেছে, গয়েশপুরসহ আশপাশের গ্রামের ১০-১২ জন ভারত থেকে মাদক আনতে গিয়েছিলেন। বিকেলে ফেরার সময় বিএসএফের সদস্যরা তাঁদের ধাওয়া দেয়। এ সময় সবাই পালিয়ে গেলেও শহিদুল গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার সময় তিনি মারা যান।
তবে শহিদুলের স্ত্রী নাসরিন আক্তার বলেন, ‘সকালে কাজ গিয়েছিল (স্বামী)। দেড়টা থেকে ২টার দিকে কাজ শেষ করে বাড়ি এসেছিল। এরপর বিকেলে গরুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিল। আর বাড়ি আসেনি। মাগরিবের সময় শুনছি, আমার স্বামীকে গুলি করে বিএসএফ নিয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে গয়েশপুর গ্রামের ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শহিদুল মাঠে শ্রমিকের কাজ করে। শুনেছি আসরের নামাজের পর বিএসএফের সদস্যরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। পরে লাশ নিয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রফিকুল আলম বলেন, ঘটনা শোনার পর তিনি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শহিদুল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে তারা নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে মারা যাওয়ার বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেনি।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল বলেন, শহিদুল ইসলাম চোরাকারবারির সঙ্গে জড়িত এবং মাদক বহনের সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে বিএসএফ।