হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

বাংলাদেশে তৈরি ৩ ল্যান্ডিং ক্র্যাফট হস্তান্তর করল ওয়েস্টার্ন মেরিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নবনির্মিত ল্যান্ডিং ক্রাফট ‘মায়া’তে জাহাজ তিনটি হস্তান্তরের অনুষ্ঠান হয়। ছবি : আজকের পত্রিকা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রতিষ্ঠান মারওয়ান শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং লিমিটেডের কাছে তিনটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট হস্তান্তর করেছে দেশের রপ্তানিমুখী জাহাজ নির্মাণ শিল্পের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে নবনির্মিত ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ‘মায়া’তে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাজ তিনটি হস্তান্তর করা হয়। বাকি দুটি জাহাজের নাম ‘এসএমএস এমি’ এবং ‘মুনা’।

হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ আলহমৌদি। তিনি বলেন, মারওয়ান শিপিং ও ওয়েস্টার্ন মেরিনের এ সহযোগিতা দুই দেশের বন্ধুত্ব ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করবে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ থেকে আরও জাহাজ আমিরাতে রপ্তানি হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এফবিসিসিআইয়ের প্রশাসক আব্দুর রহিম খান বলেন, ওয়েস্টার্ন মেরিন দীর্ঘদিন ধরে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে অবদান রাখছে। রপ্তানি বহুমুখীকরণের জন্য জাহাজ নির্মাণ এখন অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত।

ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে একক রপ্তানি পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। জাহাজ নির্মাণ শিল্প আমাদের সামনে নতুন রপ্তানি গন্তব্য ও বৈচিত্র্যের সুযোগ এনে দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহাইল হাসান বলেন, বিশ্বব্যাপী জাহাজের চাহিদা বাড়ছে, আর অনেক দেশে দক্ষ জনবল কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে। তবে টেকসই অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির নিশ্চয়তা।

হস্তান্তর করা তিনটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফটই ৬৯ মিটার দৈর্ঘ্য, ১৬ মিটার প্রস্থ এবং ৩ মিটার ড্রাফটসহ আধুনিক নকশায় তৈরি। আন্তর্জাতিক ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি ব্যুরো ভেরিতাসের (বিভি) মানদণ্ড অনুযায়ী নির্মিত জাহাজগুলো অফশোর সাপ্লাই, ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহন ও বাল্ক কার্গো বহনের জন্য উপযোগী।

প্রতিটি জাহাজে রয়েছে ওয়াইএএনএমএআরের দুটি মূল ইঞ্জিন, আধুনিক ন্যাভিগেশন সিস্টেম এবং ৭০০ বর্গমিটারের বেশি ডেক স্পেস। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এগুলো মূলত সাগরের জ্বালানি খাতে যন্ত্র ও মালামাল পরিবহনে ব্যবহার করা হবে।

২০২৩ সালে ওয়েস্টার্ন মেরিন ও মারওয়ান শিপিংয়ের মধ্যে মোট আটটি জাহাজ নির্মাণের চুক্তি হয়। এর মধ্যে রয়েছে, দুটি টাগবোট, চারটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট এবং দুটি অয়েল ট্যাংকার। চুক্তি অনুযায়ী এর আগে জানুয়ারিতে ‘রায়ান’ নামে একটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট এবং জুলাই মাসে ‘খালিদ’ ও ‘ঘায়া’ নামের দুটি টাগবোট হস্তান্তর করা হয়। আজ হস্তান্তরিত তিনটি ল্যান্ডিং ক্র্যাফটসহ চলতি বছরেই ছয়টি জাহাজ রপ্তানি করল প্রতিষ্ঠানটি।

ওয়েস্টার্ন মেরিন ২০১০ সালে প্রথম জাহাজ রপ্তানি শুরু করে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১১টি দেশে ৩৬টি জাহাজ রপ্তানি করেছে, যার বাজারমূল্য ১৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি। কোভিড-পরবর্তী স্থবিরতা কাটিয়ে সাম্প্রতিক অর্ডারগুলো বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

‘গুলি কর’ বলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার ঘটনায় ২ ভাড়াটে গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে বিএনপি দুই পক্ষের সংঘর্ষ, জুলাই মঞ্চ নেতার মৃত্যু

মিয়ানমারে পাচারের সময় ৬০০ বস্তা সিমেন্টসহ আটক ১১

কারাবন্দী যুবক ও দুই জুলাই যোদ্ধার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ‘মিথ্যা মামলা’ দেওয়ার অভিযোগ

যমুনা অয়েল: ৬ দায়িত্বে এক কর্মকর্তা, দুর্নীতির অভিযোগ

সুষ্ঠু নির্বাচন করার সক্ষমতার শঙ্কা দূর হচ্ছে না: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

চট্টগ্রামে কুকুরকে গাড়িচাপায় হত্যা, ডিসি বাসভবনের প্রহরীসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ

চাঁদাবাজি নিয়ে নৌ উপদেষ্টার বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলেন চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম বন্দরে অফডক বন্ধের কর্মসূচি থেকে সরলেন ডিপোমালিকেরা

বাবাকে মারধরের অভিযোগ এমপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে