হোম > সারা দেশ > চাঁদপুর

মেঘনায় বিপুল মাছের মৃত্যু: কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি

চাঁদপুর প্রতিনিধি

মেঘনার পানি পরীক্ষায় কমিটির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীতে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণীর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. সোহরাব আলীকে প্রধান করে মৎস্য বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক আলমগীর কবিরসহ আটজনকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে আমিরাবাদ পর্যন্ত পরিদর্শন করে। এ সময় তারা ষাটনল, ষাটনল বাবু বাজার, মোহনপুর ও এখলাছপুর এলাকা থেকে পানির নমুনা সংগ্রহ করে প্রাথমিক পরীক্ষার পর চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যান।

পরিবেশ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মো. সোহরাব আলী বলেন, ‘পুরো এলাকা আমরা ঘুরে দেখলাম। মেঘনা নদীর তীরবর্তী চারটি স্পট থেকে পানির নমুনাও সংগ্রহ করেছি ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য। ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পর রিপোর্ট পেতে পাঁচ দিন সময় লাগবে। তারপর আমরা মেঘনার এ অঞ্চলের মাছ মরে যাওয়ার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে পারব।’

এদিকে মেঘনা পাড়ের ষাটনল মালোপাড়া, বাবু বাজার, ছটাকী, দশীনী, মোহনপুর, হাশিমপুর, এখলাছপুর ও জহিরাবাদ এলাকার নদীর পাড়ের বেশ কজন জেলের সঙ্গে কথা হলে তারা জানায়, গত ২৪-২৫ দিন ধরেই ভাটার সময় মেঘনা নদীর পাড়ে চেউয়া, পুটি, চিংড়ি, পাঙাশ, আইর, কাচকি, বেলেসহ বিভিন্ন জাতের মরা মাছ। মাছ ছাড়া সেলেং, ব্যাঙ, কুঁচিয়া, সাপসহ নানা জলজ প্রাণীও মরে ভেসে উঠছে।

সম্প্রতি মাছ ও জলজ প্রাণী মারা যাওয়ার খবর পেয়ে নদীর পানির মান পরীক্ষা করে মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়। তাতে দেখা গেছে, মেঘনার পানিতে পিএইচএর পরিমাণ কমে এখন ৬ থেকে সাড়ে ৬ পিপিএমে দাঁড়িয়েছে। এর স্বাভাবিক পরিমাণ সাড়ে ৭ থেকে ৯ পিপিএম। পানিতে অ্যামোনিয়ার স্বাভাবিক পরিমাণ থাকে শূন্য দশমিক ১ পিপিএম। মেঘনার পানিতে সেটি বেড়ে এখন শূন্য দশমিক ২ পিপিএম বা ততোধিক। পানিতে অক্সিজেনের স্বাভাবিক পরিমাণ থাকে ৫ থেকে সাড়ে ৫ পিপিএম। অতিরিক্ত দূষণের ফলে মেঘনার পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১ থেকে দেড় পিপিএমে।

মেঘনার পানি পরীক্ষায় কমিটির সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

মেঘনা অঞ্চলের জেলে মহাবীর বর্মণ ও প্রদীপ বর্মণ বলেন, ‘গত ২৪-২৫ দিন ধইরা নদীর পাড়ে মাছ মরার কারণে আমরা মাছ ধরতে যাইতে পারি না। ২-৪ জন জাউলা জাল লইয়া নদীত মাছ ধরতে গেলেও কোনো মাছ জালে উডে না। মাছ ছাড়াই ফিরা আইতে অয়। নদীত মাছ না পাইয়া আমরা অনেক কষ্টে দিন কাটাইতাছি।’

মেঘনা অঞ্চলের জেলে প্রদীপ চন্দ্র বলেন, ‘কদিন আমরা গাঙ্গ মাছ ধরতে যাই না, যাই যাই মাছ পাই না। সমিতির তিগা লোন উডাইয়া নাও-জাল করছি, অহন সমিতির কিস্তির টাকা দিতে পারি না। বউ-পোলাপাইন লইয়া অনেক কষ্টে আছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতলব উত্তর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীর পানিতে অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় এবং পিএইচ ও অক্সিজেনের হার কমে যাওয়ায় ব্যাপক হারে মাছ মরছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশে মেঘনার মিঠাপানিও দূষিত হয়ে উঠেছে।

ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি চবির আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: মামলা হয়নি, নাশকতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ মেলেনি

কর্ণফুলীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১০

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

কুমিল্লায় একাধিক মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

লক্ষ্মীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, যুবক গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ

চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন ও মিডিয়া ভবনে নিরাপত্তা জোরদার