রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা (কেপিআই) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টাকালে মো. মাহফুজ শেখ নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাঁর বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায়।
বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহফুজ জানিয়েছেন, তিনি বাণিজ্যিক জাহাজে ঢুকে বিদেশে পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি মুকসুদপুরের বোয়ালিয়ার শেখবাড়ির টুকু শেখের ছেলে। তাঁর কাছে পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, চিড়া, খাওয়ার পানিসহ একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বন্দরের ভেতরে অবৈধভাবে ঢুকে ১১ নম্বর জেটি এলাকায় ঘোরাফেরার সময় নিরাপত্তাকর্মীরা মো. মাহফুজ শেখকে আটক করেন।
এদিকে একই দিনে বিভিন্ন সময়ে বন্দরে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে আরও দুজনকে আটক করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দরসচিব মো. ওমর ফারুক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভোরে বন্দরের ১ নম্বর গেট দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে মো. আবুল খায়ের নামের একজন আটক হন। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগের গোপালপুরের মো. হানিফের ছেলে।
এ ছাড়া বেলা সোয়া ২টার দিকে জিসিবি-২ নম্বর গেট দিয়ে অন্য একজনের প্রবেশ পাস দিয়ে কাভার্ড ভ্যানের গেট পাস সংগ্রহ করে বন্দরের ভেতরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে মেহেদি হাসান লাবলু নামের অপর একজনকে আটক করেন দায়িত্বরত নিরাপত্তা বিভাগের সদস্যরা। আটক মেহেদি খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির মহামুনিপাড়ার বাসিন্দা। শফিকুল ইসলাম নামের একজনের প্রবেশ পাস দিয়ে মেহেদি হাসান লাবলু ভেতরে ঢোকেন। তিনি লাবলুর মামা। শফিকুল কিছুদিন আগে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বিভাগ।
বন্দরসচিব ওমর ফারুক জানান, অবৈধভাবে বন্দরে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে তিনজনকে আটক করা হয়। তাঁদের বন্দর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মাহফুজ শেখ বিদেশগামী বাণিজ্যিক জাহাজে ঢুকে পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।