ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিম্ন আয়ের হতদরিদ্র, দিনমজুর ও প্রান্তিক কৃষকেরা। বর্তমানে পানি বিপৎসীমার নিচে থাকলেও নদীগুলোর বাঁধভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। ফলে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাচ্ছে পানিতে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তদের একটাই দাবি, তারা ত্রাণ নয়, চায় শুধু স্থায়ী বাঁধ। কারণ প্রতিবছর বন্যায় তাদের সর্বস্ব হারাতে হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে মুহুরী নদীর ফুলগাজী উপজেলা সদর ইউনিয়নের দৌলতপুর, দেড়পাড়া এবং দরবার পুর ইউনিয়নের বরইয়া ও পরশুরাম উপজেলার অলকা এলাকাসহ মোট ৪টি স্থানে বাঁধ ভেঙে দুই উপজেলার ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে পানি বিপদ সীমার নিচে থাকলেও নদীগুলোর বাঁধ ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করার ফলে নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্যায় ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ অনেক গ্রামীণ সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে শত শত পুকুর ও মাছের ঘের।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদুল হাসান জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণ করা হলেও অনেক স্থানে ত্রাণের সংকটে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তালিকা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের পানি এবং ভারী বর্ষণের ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ফুলগাজীর দরবারপুর ইউনিয়নের বরইয়া বাঁধ মেরামত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি বাঁধ মেরামতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।