চট্টগ্রামের আনোয়ারায়
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় দুই বছর আগে শুরু করা একটি সড়ক সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী। আজ শনিবার উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর সরেঙ্গা ও ফকিরপাড়ার সড়কের পানিতে তলিয়ে যাওয়া অংশে ধানের চারা লাগান তাঁরা। তাঁরা বলছেন, সড়কটি সংস্কারকাজ দ্রুত সম্পূর্ণ করতে স্থানীয় সরকার প্রশাসন, সড়ক বিভাগ, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান তাঁরা।
জানা গেছে, দুই বছর আগে উত্তর সরেঙ্গা হযরত আবদুস ছমদ শাহ সড়কটির সংস্কার শুরু হয়েছিল। কিন্তু কেবল সড়ক খুঁড়ে কাজ ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। সড়কটি এখন বড় বড় গর্তে ভরে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সেসব জায়গায় পানি জমে যায়। কাদামাটিতে একাকার হয়ে পড়ে সড়কটি। দীর্ঘদিন ধরে সড়কের এমন বেহাল দশায় এলাকাবাসী দুর্ভোগে পড়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিনহাজ উদ্দিন রাকিব বলেন, দুই বছর ধরে সড়ক খুঁড়ে ফেলে রেখেছেন ঠিকাদার। প্রতিদিন এ পথে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু সড়কের অবস্থা এতটাই খারাপ যে স্কুলের শিশুশিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বয়স্ক সবাই কষ্ট পাচ্ছেন। দুর্ঘটনাও ঘটছে নিয়মিত। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বহুবার স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানোর পরও সংস্কারকাজ এখনো ধরেনি। তাই বাধ্য হয়ে এলাকাবাসীরা প্রতীকী প্রতিবাদ করেছে।’
স্থানীয়রা জানান, রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর সরেঙ্গা ও ফকিরপাড়ার প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। ২০২৩ সালের দিকে ঠিকাদার সড়কটি খুঁড়ে আর কোনো কাজ করেননি। এর পর থেকে সড়ক দিয়ে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি হলে পানি আর কাদায় ভরে যায় সড়কটি। এতে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কর্মজীবী, কৃষকসহ অসুস্থ রোগীদের চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
আনোয়ারা উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্র জানায়, রায়পুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সরেঙ্গা হযরত আবদুস ছমদ শাহ সড়কটি সংস্কারের জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে ২০২৩ সালে টেন্ডার পেয়ে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার মোহাম্মদ ইব্রাহীম। ২ হাজার ৮৮ মিটার সড়কের মধ্যে ৮৫০ মিটার সড়ক কার্পেটিং কাজ শেষ করলেও এখনো বাকি রয়েছে ১ হাজার ২৩৮ মিটার সড়কের কাজ।
জানতে চাইলে ঠিকাদার মোহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘বর্ষার কারণে নির্মাণসামগ্রী নেওয়া যাচ্ছে না। বর্ষা উন্নতি হলে সড়কের অবশিষ্ট অংশের কাজ শেষ করা হবে।’
আনোয়ারা উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সড়কের নির্মাণকাজ করা যাচ্ছে না। এর মধ্যে ঠিকাদারের কাজটি বাতিল এবং জরিমানার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে।’