চট্টগ্রাম নগরের একটি বাসা থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরির মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে একজন চুরি করা সোনা বিক্রির টাকা দিয়ে রয়েল এনফিল্ড ব্র্যান্ডের একটি নতুন মোটরসাইকেল কিনেছেন। মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি–পশ্চিম) অভিযানে ওই মোটরসাইকেল ও ৬০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সহকারী কমিশনার আমিনুর রশিদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে গতকাল সোমবার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে নগর ও আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় ডিবি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. জসিম (৪৩), মোস্তাকিন হোসেন মিঠু (৪২), সেতু দাস ওরফে সালাহ উদ্দিন (৩২) ও মো. ইসমাইল (৩০)। তাঁদের মধ্যে সেতু দাস ওরফে সালাহ উদ্দিন চোরাই স্বর্ণালংকার বিক্রির টাকায় রয়েল এনফিল্ড ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল কেনেন।
গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৫ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানার আসকার দীঘির পূর্বপাড়া এলাকার একটি বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পূরবী বিশ্বাস ১৬ ডিসেম্বর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। এজাহারে তিনি ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, টাকা ও ল্যাপটপ চুরির অভিযোগ করেন। এরপর ডিবির (পশ্চিম) একটি দল তদন্ত করে কয়েকজনের সম্পৃক্ততার তথ্য পায়। তাঁদের গ্রেপ্তারে গতকাল নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের শুরুতে জসিম ও মোস্তাকিন হোসেন মিঠুকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা স্বীকার করেন, তাঁদের সহযোগী সেতু দাস ওরফে সালাহ উদ্দিন এই চুরির পরিকল্পনা করেন। এরপর জসিমের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চুরি করা একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, জসিম ও মিঠুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জেলার আনোয়ারা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে সেতু দাস ওরফে সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, চুরির স্বর্ণালংকার বিক্রির টাকায় তিনি একটি নতুন রয়েল এনফিল্ড ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল কিনেছেন এবং ৬০ হাজার টাকা তাঁর হেফাজতে রেখেছেন। পরে নগরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে চোর চক্রটির আরেক সদস্য ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি চুরির স্বর্ণালংকার উদ্ধারের জন্য একটি দোকানের ঠিকানা দেন। তবে তাঁর কথামতো অভিযানে গেলে দোকানি পালিয়ে যান।
সিএমপির সহকারী কমিশনার আমিনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযানে আটক ব্যক্তিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া চোরাই স্বর্ণালংকার উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।