খাগড়াছড়ির রামগড়ে সালিস চলাকালে সংঘর্ষে সাক্ষী মো. আবুল কালাম নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে তৈছালা গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামি নুরুল আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়। খোকন ওই এলাকার বাসিন্দা। এর আগে নিহত কালামের স্ত্রী রেখা বেগম বাদী হয়ে গতকাল রাতে রামগড় থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ১০ জনকে আসামি করা হয়।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, ‘হত্যা মামলার পরই আমরা অভিযানে নামি। প্রথম দিনে আসামি নুরুল আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তৈছালায় মর্তুজা আলীর খেতে সাদ্দামের গরু ঢুকে ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত ঘটে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য ডাকা সালিস চলাকালে হঠাৎ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষে সালিসের সাক্ষী কালামসহ ৯ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চারজনকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় কালাম পরদিন শুক্রবার ভোরে মারা যান। তিনি তৈছালা গ্রামের আসলাম মিয়ার ছেলে।