বগুড়ার শেরপুরে নাতির লাঠির আঘাতে দাদার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত দাদার নাম শাবান আলী (৭৫)। তিনি চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত নাতি মো. রানা (২৪) পলাতক রয়েছেন। রানার বাবার নাম মো. আবু সাঈদ।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো. রানা বেশ কয়েক বছর ধরে মাদকাসক্ত। নেশার টাকার জন্য তিনি প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের ওপর চাপ দিতেন এবং তাঁর আচরণে বাড়ির লোকজন সব সময় আতঙ্কে থাকত। তাঁর এই কর্মকাণ্ডের কারণে বিবাহিত স্ত্রীও তাঁকে ছেড়ে চলে গেছেন।
আজ সকালে রানা তাঁর দাদার কাছে টাকা চান। শাবান আলী টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে একটি গাছের ডাল দিয়ে দাদার মাথায় আঘাত করেন। এতে শাবান আলী গুরুতর জখম হন এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হতে থাকে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সকাল পৌনে ৯টায় শাবান আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, নিহত শাবান আলীর মাথার পেছনে আঘাতে রক্তাক্ত জখম ছিল। পরে পরিবারের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নুল আবেদীন বলেন, সংবাদ পেয়ে আজ রোববার বেলা ১১টায় চন্ডিপুর গ্রামে গিয়ে নিহত ব্যক্তির বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মো. রানাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।