বরিশালের মুলাদীতে মামলা তুলে না নেওয়ায় ব্যবসায়ী মিজান ঘরামীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার হারুন শরীফ ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার মুলাদী সদর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মীপুর নবারের হাটে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় মিজানের দোকানে ভাঙচুরও চালানো হয়। এ ঘটনায় মিজানের ছোটভাই মনির বাদী হয়ে হারুন শরীফসহ ১২ জনকে আসামি করে মুলাদী থানায় মামলা করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল।
মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি ও পারিবারিক বিষয় নিয়ে মিজান ঘরামীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হারুন শরীফ, আবুল কালাম হাওলাদার ও তাঁদের লোকজনের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলমান। মামলা তুলে নিতে হারুন শরীফের লোকজন বিভিন্ন সময়ে মিজানকে হুমকি দেয়। কিন্তু মিজান ঘরামী মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এতে হারুন শরীফ ও তাঁর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দা, লোহার পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে মিজান ঘরামীর দোকানে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা মিজান ঘরামীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে এবং দোকানের টিভি, ফ্রিজ ভাঙচুর করে। তখন ৮০ হাজার টাকা হামলাকারীরা নিয়ে যায় বলে অভিযোগ মিজানের। ঘটনার সময় মিজান ঘরামীর ডাকচিৎকারের বাজারের ব্যবসায়ীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে মুলাদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মুলাদী হাসপাতালের চিকিৎসক সাইদী হাসান বাধন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিজান ঘরামীর পায়ে ও কোমরের নিচে কোপের গভীর ক্ষত রয়েছে। এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।’
মিজান ঘরামীর ওপর হামলার কথা অস্বীকার করেন হারুন শরীফ বলেন, ‘পারিবারিক বিরোধের জের ধরে মিজান ঘরামী আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন। সেই বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তাঁর ভাই আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।’
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুষার কুমার মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীর ওপর হামলা ও দোকান ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’