বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার সাত ইউনিয়নের পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌর কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একাংশ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পাথরঘাটা কলেজ রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শেখ রাসেল স্কায়ারে প্রতিবাদ সভা করে। এ সময় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন নেতা-কর্মীরা।
এর আগে শনিবার সকালে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদক স্বাক্ষরিত কমিটি প্রকাশ করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকন, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আকন মো. শহীদ, সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জামাল হোসেনসহ কয়েকশ দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নাচনাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মাসুদ রানাকে সভাপতি ও মো. ফরিদ খানকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। চরদুয়ানীতে হাফিজউদ্দিন আহমেদ ওরফে ফিরোজকে সভাপতি ও আরিফুর রহমান মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। একইভাবে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে শামসুল আলম সিকদারকে সভাপতি ও ইব্রাহিম খলিলকে সাধারণ সম্পাদক, কাকচিড়া ইউনিয়নে আলাউদ্দিন পল্টুকে সভাপতি ও ফিরোজ আলমকে সাধারণ সম্পাদক, কাঠালতলীতে শহিদুল ইসলামকে সভাপতি ও মহিউদ্দিন সিকদার ওরফে হিরুকে সাধারণ সম্পাদক এবং পাথরঘাটা পৌর শাখায় মোস্তফা কামালকে সভাপতি ও মো. নাসির উদ্দিন ওরফে সোহাগকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এ কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগের একাংশ। তাদের দাবি টাকার বিনিময়ে এ কমিটি প্রকাশ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির হোসেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকন মোহাম্মদ শহীদ জানান, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ কমিটিতে অনেক বিতর্কিত এবং খুনের মামলার আসামিও স্থান পেয়েছে। বিতর্কিত এ কমিটিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকের অপসারণ দাবি করেছেন নেতা-কর্মীরা।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো জাবির হোসেন বলেন, ‘দলীয় নিয়ম মেনেই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি হয়নি। ত্যাগী নেতাদের এ ইউনিয়ন কমিটিতে মুল্যায়ন করা হয়েছে।’