বরগুনার পাথরঘাটায় ধর্ষণের শিকার হয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর (১৩) আত্মহত্যার ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পৃথক কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার চরদুয়ানি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে তার সহপাঠীরা এবং সকালে শেখ রাসেল স্কয়ারে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁরা বলেন, ধর্ষণের ঘটনার ১০ দিন পার হলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে ঘটনার সাত দিন পর বরগুনা নারী ও শিশু বিচার ট্রাইব্যুনালে স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। বক্তারা অভিযুক্ত জুবায়ের, ফয়সাল, সাকিবুল ইসলাম হৃদয় ও তন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেন।
গত ২৭ জুন দুপুরে চরদুয়ানী বাজারের মিনা লাইব্রেরি অ্যান্ড কসমেটিকসের দোকানে ওই স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে। পরদিন ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করলে ৩ জুলাই তার মা বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী মুক্তা চরদুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সে উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের উত্তর কাঁঠালতলী এলাকার মোস্তফা মিয়ার মেয়ে।