হোম > সারা দেশ > বরগুনা

বরগুনার তালতলী

বনাঞ্চল উজাড় করে প্রভাবশালীদের ঘের

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 

বনের গাছ কেটে খনন করা হচ্ছে মাছের ঘের। সম্প্রতি বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরগুনার তালতলীতে বনের গাছ কেটে জমি দখল করে মাছের ঘের করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে এসব করা হলেও চুপ রয়েছে প্রশাসন। স্থানীয়দের অভিযোগ, অসাধু বন কর্মকর্তাদের যোগসাজশে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গাছ কেটে মাছের ঘের করা হচ্ছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া খেয়াঘাট থেকে শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া গ্রাম পর্যন্ত আন্ধারমানিক নদীর কূল ঘেঁষে প্রায় ২০ কিলোমিটারের পুরোটা জুড়েই ছইলা, কেওড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করেছে বন বিভাগ। শ্বাসমূলীয় এসব গাছপালা বড় হয়ে ঘন জঙ্গল সৃষ্টি করেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য পরিণত হয়েছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার সবুজ দেয়ালে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের চাউলাপাড়া এলাকায় নদীতীরবর্তী বনের ছইলা, কেওড়া ও নানা প্রজাতির কয়েক শতাধিক চারা গাছ কেটে খননযন্ত্র দিয়ে প্রায় ২ একর জমি খনন করে মাছের ঘের করেছেন স্থানীয় প্রভাবশালী বাবুল মৃধা ও জাকির মৃধা। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এসব বেআইনি কার্যক্রম বন্ধে তাঁরা বন বিভাগের তৎপরতা দেখেননি। তাঁদের ভাষ্য, বন বিভাগের লোকজনের যোগসাজশেই এ কাজগুলো চলছে।

ঘের খননকারী বাবুল মৃধা ও জাকির মৃধা বলেন, ‘ওই জমি আমাদের বাড়ির সম্মুখভাগে। ওই জমি আমরা বন্দোবস্ত নিয়েছি। এখানে চিংড়ি চাষ করার জন্য ঘের খনন করতেছি। এখানে বন বিভাগের লোকজন এসেছিলেন, তাঁরা দেখে গেছেন।’

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর তালতলী উপজেলা সমন্বয়ক ও পরিবেশকর্মী আরিফ রহমান বলেন, ‘এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাদের উপকূলীয় সবুজ বেষ্টনী ধ্বংস ও দখল করছে একশ্রেণির ভূমিদস্যু। তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা উচিত। তা ছাড়া উপকূলীয় বনভূমি রক্ষায় প্রশাসনের সচেতনতামূলক প্রচার দরকার।’

নিশানবাড়িয়া বিট অফিসার হায়দার আলী বলেন, ‘ওই এলাকা পরিদর্শন করেছি। যারা জমি দখল করে ঘের করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’

বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বিষয়টি অবগত হয়ে দখলদারদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। দখল করা বনের জমি উদ্ধার এবং বন উজাড়কারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, বন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিন দপ্তর ‘ম্যানেজ’ করে দেদার চলছে জাটকা শিকার

গাছ নিধন: দস্যু ও কর্মকর্তার যোগসাজশ

বিএনপি নেতা সুজন মল্লিকের মায়ের ইন্তেকাল

মানুষ এবার ইসলামি দলকে ক্ষমতায় দেখার অপেক্ষায়: চরমোনাই পীর

সিমেন্ট নয়, বালু দিয়ে জিও ব্যাগ বোঝাই

বেতাগীতে বাস মাহিন্দ্রার সংঘর্ষে একজন নিহত

বরগুনায় ‘সর্বাত্মক শাটডাউন’ লিখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তালা, পুলিশ বলছে—অভ্যন্তরীণ কোন্দল

সিডরের ১৮ বছর: উপকূলবাসী এখনো ভুগছে

গরুকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

পাথরঘাটায় বেড়েছে চুরি-ছিনতাই, আতঙ্কে স্থানীয়রা